জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারের কণ্ঠস্বর দাবিতে ফাঁস করা অডিওর নারী কণ্ঠকে দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক তাজনূভা জাবীনের দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চলছে। গত ১৬ জুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ফোনালাপ ফাঁস করা হলে তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট আইডি/পেইজ থেকে তাজনূভাকে জড়িয়ে পোস্ট, ফটোকার্ড ও ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে। এ নিয়ে মুখ খুলেছেন তাজনূভা নিজে। তুষারের কণ্ঠ সদৃশ ফোনালাপে থাকা নারী তাজনূভা নন তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলটির নেতা-কর্মী এবং ফোনালাপ ফাঁস করা জাওয়াদ নির্ঝরও নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে ফোনালাপের অপর পাশে থাকা নারী কণ্ঠ তিনি নন বলে দাবি করেন তাজনূভা। একই সঙ্গে সেই নারীর নাম প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকেন তিনি। তাজনূভা জাবীন বলেন, ‘শুধু এটুকু বলি, যার অডিও আমার নামে বলে ফটোকার্ড, ভিডিও কন্টেন্ট বানিয়ে ভরায় ফেলছেন, আমি বা আমরা খুব সহজে তার নাম প্রকাশ করে আমার বিরুদ্ধে হওয়া এই জঘন্য মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করতে পারি। আমরা তার নাম পাল্টা প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকছি।
‘রাজনীতিতে আসার পর দ্বিতীয়বারের মত খুব পরিকল্পনামাফিক এই ভয়াবহ সাইবার আক্রমণ চালানো হচ্ছে আমাকে ঘিরে। আমি শুধু বুঝি, আমার কথা বা লেখা গুরুত্বপূর্ণ না হলে এত মানুষ আমাকে নিচে নামানোর এত আপ্রাণ চেষ্টা করত না। এসবের উত্তর সময় অবশ্যই দেবে। আল্লাহ ভরসা।’
এদিকে আজ বুধবার সন্ধ্যায় তাঁকে জড়িয়ে অপপ্রচারের দুটি স্ক্রিনশট নিয়েও একটি পোস্ট দেন তাজনূভা। পোস্টে স্ক্রিনশটের দাবিকে মিথ্য, চরম মিথ্যা ও জঘন্য মিথ্যা বলে উল্লেখ করেন তিনি। তাজনূভা আরও লিখেন, ‘রাজনীতিতে আসার ৩ মাসের মধ্যে আমি যে লড়াইটা দিচ্ছি অনেক কষ্টের, অনেক বোঝার। জুলাইকে কাছ থেকে দেখার পর শুধু এই দেশের টানে আমি আমার ব্যক্তিগত পরিসর ছেড়ে রাজনীতিতে।আপনাদের কাছে অনুরোধ, এই মিথ্যার বিরুদ্ধে কথা বলেন। নারীদের রাজনীতিতে আসতে এভাবে বাধা দিয়েন না।’
তাজনূভা পোস্টে আরও বলেন, ‘জেনে রাখবেন, এই মিথ্যার বিরুদ্ধে কথা বলা মানে আগামীতে রাজনীতিতে আসা যোগ্য, দেশপ্রেমিক নারী রাজনীতিবিদের পক্ষে কথা বলা । তাদের জন্য পথ তৈরী করা।’