সংশোধনী নীতি


বাংল্যাফ্যাক্ট প্রচলিত তথ্য যাচাই ও প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব, সততা ও নির্ভুলতার নীতি অনুসরণ করে। তবে এই ইউনিটের বিশ্বাস করে—যেকোনো মানবিক কিংবা প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়ায় ত্রুটি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এই সম্ভাবনাকে স্বীকার করাই একটি সুসংগঠিত, স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিমূলক সংশোধন নীতিমালার ভিত্তি।

বাংল্যাফ্যাক্ট মনে করে, একটি ভুল তথ্যের ওপর নেওয়া সাংবাদিকতার একটি অপরিহার্য দায়িত্ব। কোনো প্রতিবেদন বা উপস্থাপনায় তথ্যের মধ্যে যদি ভুল, অসংগতি বা বিভ্রান্তিকর উপাদান থেকে থাকে এবং তা নিজস্ব পর্যালোচনার কিংবা পাঠক, তথ্যসূত্র বা সংশ্লিষ্ট পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে শনাক্ত হয়, তাহলে এই ইউনিটটি তা নিরপেক্ষভাবে মূল্যায়ন করে এবং যথাযথ সংশোধন বা ব্যাখ্যা প্রদান করে। সংশোধনের ক্ষেত্রে মূলত তিন ধরনের প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়—ভুল তথ্য সংশোধন, প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা এবং প্রতিবেদন হালনাগাদ।

প্রকাশিত প্রতিবেদন সংশোধনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট তথ‍্যে স্পষ্টভাবে পরিবর্তন আনা হয় এবং সংশোধিত প্রতিবেদনটির নিচে একটি 'সংশোধন বার্তা' যুক্ত করা হয়, যেখানে তারিখসহ ব্যাখ্যা থাকে যে কী পরিবর্তন করা হয়েছে এবং কেন তা জরুরি ছিল। এই প্রক্রিয়ায় বাংল্যাফ্যাক্ট পূর্বে প্রকাশিত তথ্য লুকায় না, বরং পাঠকদের স্বচ্ছতার জন্য যে সংশোধন কোথায় এবং কীভাবে হয়েছে।

পাঠক বা সংশ্লিষ্ট কারো কাছ থেকে প্রাপ্ত সংশোধন অনুরোধ বাংল্যাফ্যাক্ট যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে মূল্যায়ন করে। অনুরোধটি গ্রহণের পর ফ্যাক্ট-চেকিং টিম সেটি যাচাই করে এবং প্রয়োজনে সংশোধনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এমনকি, যদি কোনো ভুল তথ্য প্রচারের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ থাকে, প্রতিষ্ঠানটি তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে অবস্থান ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে।

বাংল্যাফ্যাক্ট যেকোনো প্রতিবেদন আপডেট করার সময়, যেমন: নতুন তথ্য যুক্ত করা বা যাচাইকৃত বিভাগে সংশোধন, সেই হালনাগাদগুলো স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে, যেন পাঠকের কাছে বিষয়বস্তুর বিবরণ স্বচ্ছ থাকে। এটি শুধু ত্রুটি দূর করে না, বরং প্রতিবেদনের কার্যকারিতাও বৃদ্ধি করে।

বাংল্যাফ্যাক্ট বিশ্বাস করে—সাংবাদিকতা কেবল তথ্য প্রকাশের কাজ নয়, বরং তা একটি চলমান দায়িত্ব, যেখানে প্রতিটি শব্দ, প্রমাণ ও বিশ্লেষণ জবাবদিহিতার কাছে জবাবদিহীর অংশ। তাই ভুল স্বীকার, সংশোধন এবং স্বচ্ছ ব্যাখ্যা প্রদান বাংল্যাফ্যাক্টের বিশ্বাসযোগ্যতা রক্ষার অন্যতম স্তম্ভ।