| ফ্যাক্ট চেক

নারী নির্যাতনের ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়, ভারতের

১৫ জুলাই ২০২৫



এক নারীকে মারধরের একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দাবি করা হচ্ছে, এটি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শাসনামলে বাংলাদেশের ঘটনা।


বাংলাফ্যাক্ট যাচাই করে দেখেছে, ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়। প্রকৃতপক্ষে, এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনায় ২০২১ সালে এক নারীকে লাঞ্ছিত করার ভিডিও।


আলোচিত দাবিটি যাচাইয়ে ভিডিওটির কিছু কি-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে ভারতীয় গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস- এর ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের ৯ জুলাই প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবির সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর দৃশ্যের মিল পাওয়া যায়।


প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কামারহাটি এলাকায় একটি ক্লাবের ভেতরে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতার সহযোগীরা নারীকে লাঞ্ছিত করার একটি পুরোনো ভিডিও প্রকাশ পায়। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সূত্রে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ঘটনাটি ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে আড়িয়াদহ তালতলা স্পোর্টিং ক্লাবে ঘটেছিল এবং সেসময় এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।


এছাড়াও, ভারতের নিউজ ১৮, ইটিভি ভারত, ইন্ডিয়াটিভিসহ একাধিক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানেও একই ঘটনায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।


অর্থাৎ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এক নারীকে মারধরের একটি পুরোনো ভিডিও অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শাসনামলে বাংলাদেশের দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।

আপনার মতামত দিন

এই পোস্টটি কি আপনার জন্য সহায়ক ছিল?

আপনার মতামত শেয়ার করুন:




ফ্যাক্ট চেক

নারী নির্যাতনের ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়, ভারতের

১৫ জুলাই ২০২৫

নারী নির্যাতনের ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়, ভারতের

এক নারীকে মারধরের একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দাবি করা হচ্ছে, এটি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শাসনামলে বাংলাদেশের ঘটনা।


বাংলাফ্যাক্ট যাচাই করে দেখেছে, ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়। প্রকৃতপক্ষে, এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনায় ২০২১ সালে এক নারীকে লাঞ্ছিত করার ভিডিও।


আলোচিত দাবিটি যাচাইয়ে ভিডিওটির কিছু কি-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে ভারতীয় গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস- এর ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের ৯ জুলাই প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবির সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর দৃশ্যের মিল পাওয়া যায়।


প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কামারহাটি এলাকায় একটি ক্লাবের ভেতরে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতার সহযোগীরা নারীকে লাঞ্ছিত করার একটি পুরোনো ভিডিও প্রকাশ পায়। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সূত্রে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ঘটনাটি ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে আড়িয়াদহ তালতলা স্পোর্টিং ক্লাবে ঘটেছিল এবং সেসময় এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।


এছাড়াও, ভারতের নিউজ ১৮, ইটিভি ভারত, ইন্ডিয়াটিভিসহ একাধিক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানেও একই ঘটনায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।


অর্থাৎ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এক নারীকে মারধরের একটি পুরোনো ভিডিও অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শাসনামলে বাংলাদেশের দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।