| ফ্যাক্ট চেক

মিয়ানমার থেকে রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফেরানো নিয়ে ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার

২৯ মে ২০২৫


বিভ্রান্তিকর

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সের (সাবেক টুইটার) এর বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট ও VORTEX নামক একটি প্রোপাগান্ডা ওয়েবসাইট থেকে দাবি করা হয়েছে, মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মো. মনোয়ার হোসেনকে ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ অর্থাৎ অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে এবং অবিলম্বে তাকে দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে।
বাংলাফ্যাক্ট অনুসন্ধান করে দেখেছে, আলোচিত দাবিটি সঠিক নয়; বরং, দীর্ঘ সময় ধরে বিদেশে কর্মরত তিনটি দেশের (ডেনমার্ক, উজবেকিস্তান ও মিয়ানমার) রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই তিন রাষ্ট্রদূত প্রায় আট বছর ধরে বিদেশে কর্মরত রয়েছেন; যা প্রচলিত ছয় বছরের সময়সীমা অতিক্রম করেছে। বিদেশে দীর্ঘদিন কর্মরত রাষ্ট্রদূতদের পর্যায়ক্রমে দেশে ফিরিয়ে আনার নতুন সংস্কৃতি চালু করা হচ্ছে বলে দৈনিক দেশ রূপান্তরকে জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। তাছাড়া, মিয়ানমার এ ধরণের কোনো বক্তব্য দেয়নি বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানা যায়, মিয়ানমার বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মো. মনোয়ার হোসেনও এই তিন রাষ্ট্রদূতের একজন, যাদেরকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই আলোচিত অ্যাকাউন্টগুলো থেকে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
এছাড়াও, গত ২৭ মে মূলধারার একাধিক গণমাধ্যমে এ বিষয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ- দৈনিক ইনকিলাব, দৈনিক কালবেলা ও ঢাকা পোস্ট তিনজন রাষ্ট্রদূতের মধ্যে শুধু মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের ফেরার সংবাদ আলাদাভাবে পরিবেশন করেছে, এবং এরসঙ্গে মানবিক করিডরের প্রসঙ্গ জুড়ে দিয়েছে; যা পাঠককে বিভ্রান্ত করতে পারে।

আপনার মতামত দিন

এই পোস্টটি কি আপনার জন্য সহায়ক ছিল?

আপনার মতামত শেয়ার করুন:




ফ্যাক্ট চেক

মিয়ানমার থেকে রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফেরানো নিয়ে ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার

২৯ মে ২০২৫

মিয়ানমার থেকে রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফেরানো নিয়ে ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সের (সাবেক টুইটার) এর বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট ও VORTEX নামক একটি প্রোপাগান্ডা ওয়েবসাইট থেকে দাবি করা হয়েছে, মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মো. মনোয়ার হোসেনকে ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ অর্থাৎ অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে এবং অবিলম্বে তাকে দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে।
বাংলাফ্যাক্ট অনুসন্ধান করে দেখেছে, আলোচিত দাবিটি সঠিক নয়; বরং, দীর্ঘ সময় ধরে বিদেশে কর্মরত তিনটি দেশের (ডেনমার্ক, উজবেকিস্তান ও মিয়ানমার) রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই তিন রাষ্ট্রদূত প্রায় আট বছর ধরে বিদেশে কর্মরত রয়েছেন; যা প্রচলিত ছয় বছরের সময়সীমা অতিক্রম করেছে। বিদেশে দীর্ঘদিন কর্মরত রাষ্ট্রদূতদের পর্যায়ক্রমে দেশে ফিরিয়ে আনার নতুন সংস্কৃতি চালু করা হচ্ছে বলে দৈনিক দেশ রূপান্তরকে জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। তাছাড়া, মিয়ানমার এ ধরণের কোনো বক্তব্য দেয়নি বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানা যায়, মিয়ানমার বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মো. মনোয়ার হোসেনও এই তিন রাষ্ট্রদূতের একজন, যাদেরকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই আলোচিত অ্যাকাউন্টগুলো থেকে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
এছাড়াও, গত ২৭ মে মূলধারার একাধিক গণমাধ্যমে এ বিষয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ- দৈনিক ইনকিলাব, দৈনিক কালবেলা ও ঢাকা পোস্ট তিনজন রাষ্ট্রদূতের মধ্যে শুধু মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের ফেরার সংবাদ আলাদাভাবে পরিবেশন করেছে, এবং এরসঙ্গে মানবিক করিডরের প্রসঙ্গ জুড়ে দিয়েছে; যা পাঠককে বিভ্রান্ত করতে পারে।