| ফ্যাক্ট চেক | রাজনীতি
শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র দেখতে চেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত—দাবিটি ভিত্তিহীন
১২ আগস্ট ২০২৫
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) আগামী ১৭ কার্যদিবসের মধ্যে শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র দেখতে চেয়েছে এবং দেখাতে ব্যর্থ হলে জোরপূর্বক ক্ষমতাচ্যুত করার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট সবাইকে গ্রেপ্তার করতে বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীকে আদেশ দেওয়া হবে- সংস্থাটির পক্ষ থেকে ভিডিও বার্তায় এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা একটি ভিডিও সম্প্রতি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে।
বাংলাফ্যাক্ট যাচাই করে দেখেছে, ১৭ কার্যদিবসের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র দেখতে চাওয়ার দাবিটি সত্য নয়। প্রকৃতপক্ষে, ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিচারকরা রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে আইসিসির এখতিয়ারভুক্ত অভিযোগগুলো তদন্ত করতে প্রসিকিউটরকে অনুমতি দেয়। সেই বিবৃতিরই একটি দৃশ্য এটি।
ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটির কিছু কী-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর প্রকাশিত একটি ভিডিওতে একই দৃশ্য পাওয়া যায়। ভিডিওটির ১ মিনিট ২১ সেকেন্ড থেকে ৩ মিনিট ১৬ সেকেন্ড পর্যন্ত সম্পূর্ণ মিল রয়েছে। এ ভিডিওর শিরোনাম থেকে জানা যায়, সেদিন বাংলাদেশ-মিয়ানমারের পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) তদন্ত শুরুর অনুমতি দেয়।
পরবর্তীতে এসব তথ্যসূত্র প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) ওয়েবসাইটে ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর প্রকাশিত একটি প্রেস রিলিজ পাওয়া যায়। এই প্রেস রিলিজ থেকে জানা যায়, সেদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রি-ট্রায়াল চেম্বার-৩ রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে আইসিসির এখতিয়ারভুক্ত অভিযোগগুলো তদন্ত করতে প্রসিকিউটরকে অনুমতি দেয়। এই চেম্বারের সদস্যরা হলেন, সভাপতি বিচারক ওলগা হেরেরা কারবুচিয়া, বিচারক রবার্ট ফ্রেমর ও বিচারক জিওফ্রি হেন্ডারসন।
পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) ওয়েবসাইটে সম্প্রতি খোঁজ করে সংস্থাটির আগামী ১৭ কার্যদিবসের মধ্যে শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র দেখতে চাওয়া এবং এতে ব্যর্থ হলে জোরপূর্বক ক্ষমতাচ্যুত করার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট সবাইকে গ্রেপ্তার করতে বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীকে আদেশ দেওয়ার দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি।
অর্থাৎ, আলোচিত দাবিটি মিথ্যা।
Topics:
হাসিনা-পুতিনের বৈঠকের ভিডিওটি ২০১৩ সালের
ফটোকার্ড নকল করে ঢাকায় নিযুক্ত বর্তমান জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লটজের নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার
এনসিপি নেত্রী মাহমুদা মিতুকে জড়িয়ে কালের কণ্ঠের নামে ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার
একাত্তর টিভির ফটোকার্ড নকল করে
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার
বাংলাদেশের ভূমিকম্পের ঘটনায় পুরোনো ও এআই-সৃষ্ট দৃশ্যের প্রচার
আপনার মতামত দিন
এই পোস্টটি কি আপনার জন্য সহায়ক ছিল?
এখনো কেউ ভোট দেয়নি। আপনিই প্রথম হোন!
0%
0%
আপনার মতামত শেয়ার করুন:
| মন্তব্য সমূহ:
এখনও কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্যটি করুন!
| আরও পড়ুন
সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ হারানোর খবরটি অসত্য
ফটোকার্ড নকল করে ঢাকায় নিযুক্ত বর্তমান জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লটজের নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার
পুলিশ কমিশনার ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে জড়িয়ে প্রথম আলো'র নামে ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার
সম্পাদিত ছবি দিয়ে সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে প্রধান উপদেষ্টার নামে অপপ্রচার
ফ্যাক্ট চেক
শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র দেখতে চেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত—দাবিটি ভিত্তিহীন
১২ আগস্ট ২০২৫
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) আগামী ১৭ কার্যদিবসের মধ্যে শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র দেখতে চেয়েছে এবং দেখাতে ব্যর্থ হলে জোরপূর্বক ক্ষমতাচ্যুত করার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট সবাইকে গ্রেপ্তার করতে বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীকে আদেশ দেওয়া হবে- সংস্থাটির পক্ষ থেকে ভিডিও বার্তায় এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা একটি ভিডিও সম্প্রতি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে।
বাংলাফ্যাক্ট যাচাই করে দেখেছে, ১৭ কার্যদিবসের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র দেখতে চাওয়ার দাবিটি সত্য নয়। প্রকৃতপক্ষে, ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিচারকরা রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে আইসিসির এখতিয়ারভুক্ত অভিযোগগুলো তদন্ত করতে প্রসিকিউটরকে অনুমতি দেয়। সেই বিবৃতিরই একটি দৃশ্য এটি।
ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটির কিছু কী-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর প্রকাশিত একটি ভিডিওতে একই দৃশ্য পাওয়া যায়। ভিডিওটির ১ মিনিট ২১ সেকেন্ড থেকে ৩ মিনিট ১৬ সেকেন্ড পর্যন্ত সম্পূর্ণ মিল রয়েছে। এ ভিডিওর শিরোনাম থেকে জানা যায়, সেদিন বাংলাদেশ-মিয়ানমারের পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) তদন্ত শুরুর অনুমতি দেয়।
পরবর্তীতে এসব তথ্যসূত্র প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) ওয়েবসাইটে ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর প্রকাশিত একটি প্রেস রিলিজ পাওয়া যায়। এই প্রেস রিলিজ থেকে জানা যায়, সেদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রি-ট্রায়াল চেম্বার-৩ রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে আইসিসির এখতিয়ারভুক্ত অভিযোগগুলো তদন্ত করতে প্রসিকিউটরকে অনুমতি দেয়। এই চেম্বারের সদস্যরা হলেন, সভাপতি বিচারক ওলগা হেরেরা কারবুচিয়া, বিচারক রবার্ট ফ্রেমর ও বিচারক জিওফ্রি হেন্ডারসন।
পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) ওয়েবসাইটে সম্প্রতি খোঁজ করে সংস্থাটির আগামী ১৭ কার্যদিবসের মধ্যে শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র দেখতে চাওয়া এবং এতে ব্যর্থ হলে জোরপূর্বক ক্ষমতাচ্যুত করার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট সবাইকে গ্রেপ্তার করতে বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীকে আদেশ দেওয়ার দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি।
অর্থাৎ, আলোচিত দাবিটি মিথ্যা।