| ফ্যাক্ট চেক

ভারতের ঘটনার ভিডিও বাংলাদেশে সহিংসতা দাবি করে প্রচার

৫ অক্টোবর ২০২৫


মিথ্যা

কয়েকজন মিলে একজনকে মারধর করছেন—এমন একটি ভিডিও সাম্প্রতিক বাংলাদেশের ঘটনা দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। ভিডিওটি ব্যবহার করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সমালোচনা করা হচ্ছে এবং ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশের পরিস্থিতির সঙ্গে এর সংযোগের ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে।


যাচাইয়ে দেখা গেছে, আলোচিত ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়, বরং ভারতের। এটি গত ২৯ আগস্ট ভারতের রাজধানী দিল্লির কালকাজি মন্দিরে সংঘটিত এক হত্যাকাণ্ডের দৃশ্য। ওইদিন প্রসাদ নিয়ে বিবাদকে কেন্দ্র করে মন্দিরের এক সেবাদারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।


ভিডিওটির কিছু স্থিরচিত্র রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত “Kalkaji Mandir sewadar beaten to death after row over prasad, 5 arrested” শিরোনামের প্রতিবেদনের সঙ্গে মিল পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ফিচার ইমেজের সঙ্গে প্রচারিত ভিডিওর একটি নির্দিষ্ট ফ্রেম একদম অভিন্ন।


এছাড়া, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এবং দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া-তেও প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে ঘটনাটি ভারতের বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।


অর্থাৎ, ভারতেরে সহিংস ঘটনার ভিডিওকে বাংলাদেশের ঘটনা দাবি করে প্রচার করা হয়েছে, যা মিথ্যা।


আপনার মতামত দিন

এই পোস্টটি কি আপনার জন্য সহায়ক ছিল?

আপনার মতামত শেয়ার করুন:




ফ্যাক্ট চেক

ভারতের ঘটনার ভিডিও বাংলাদেশে সহিংসতা দাবি করে প্রচার

৫ অক্টোবর ২০২৫

ভারতের ঘটনার ভিডিও বাংলাদেশে সহিংসতা দাবি করে প্রচার

কয়েকজন মিলে একজনকে মারধর করছেন—এমন একটি ভিডিও সাম্প্রতিক বাংলাদেশের ঘটনা দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। ভিডিওটি ব্যবহার করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সমালোচনা করা হচ্ছে এবং ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশের পরিস্থিতির সঙ্গে এর সংযোগের ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে।


যাচাইয়ে দেখা গেছে, আলোচিত ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়, বরং ভারতের। এটি গত ২৯ আগস্ট ভারতের রাজধানী দিল্লির কালকাজি মন্দিরে সংঘটিত এক হত্যাকাণ্ডের দৃশ্য। ওইদিন প্রসাদ নিয়ে বিবাদকে কেন্দ্র করে মন্দিরের এক সেবাদারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।


ভিডিওটির কিছু স্থিরচিত্র রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত “Kalkaji Mandir sewadar beaten to death after row over prasad, 5 arrested” শিরোনামের প্রতিবেদনের সঙ্গে মিল পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ফিচার ইমেজের সঙ্গে প্রচারিত ভিডিওর একটি নির্দিষ্ট ফ্রেম একদম অভিন্ন।


এছাড়া, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এবং দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া-তেও প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে ঘটনাটি ভারতের বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।


অর্থাৎ, ভারতেরে সহিংস ঘটনার ভিডিওকে বাংলাদেশের ঘটনা দাবি করে প্রচার করা হয়েছে, যা মিথ্যা।