| ফ্যাক্ট চেক | জাতীয়

সমন্বয়ক বা জামায়াতে ইসলামী নয়, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ভিডিও এটি

৭ জুলাই ২০২৫


সমন্বয়ক বা জামায়াতে ইসলামী নয়, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ভিডিও এটি
মিথ্যা

সম্প্রতি সেনাবাহিনী গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র এবং মাদকদ্রব্যসহ স্থানীয় সমন্বয়ক ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের আটক করেছে এমন দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে প্রচার করা হয়েছে।


তবে বাংলাফ্যাক্ট যাচাই করে দেখেছে, ভিডিওতে আটক হওয়া ব্যক্তিরা কেউ সমন্বয়ক কিংবা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী নন। বরং তারা সবাই মাদক ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগপন্থি ছিলেন বলে বাংলাফ্যাক্টকে জানিয়েছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।


ভিডিওতে থাকা মোহনা টিভির লোগোর সূত্রে অনুসন্ধানে গণমাধ্যমটির ফেসবুক পেজে একই ভিডিও পাওয়া যায়। গত ৫ জুলাই প্রকাশিত ভিডিওর শিরোনাম থেকে জানা যায়, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র ও মাদকসহ ৪ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা।

পরবর্তীতে দেশের একাধিক গণমাধ্যমে একই তারিখে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। এসব গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ৪ জুলাই রাতে গোবিন্দগঞ্জে শহরের বুজরুক বোয়ালিয়া এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযানে স্থানীয় আজাদ মন্ডলের বাসা ও ‘ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড’ নামে অফিস থেকে ৩৬টি রামদা, ৪টি হাত কুড়াল, ১টি খেলনা পিস্তল, ৯ টি মোবাইলফোন, ১টি ল্যাপটপ, নগদ ৬ হাজার ৪৫৮ টাকা এবং ৩৭টি ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ৪ জনকে আটক করে। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হচ্ছেন, আজাদ মন্ডল (৩৫), মোশাররফ হোসেন (৩৩), আশাদুল ইসলাম (৪২) ও মেহেদী হাসান (২৫)।
তবে এই বিষয়ে বেশিরভাগ গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে গ্রেফতার হওয়া চার ব্যক্তির রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ পাওয়া যায়নি। তবে দেশ রূপান্তরে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ছত্রছায়ায় ছিলেন।


এই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া চার ব্যক্তির রাজনৈতিক পরিচয় জানতে বাংলাফ্যাক্টের পক্ষ থেকে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি জানান, ‘এই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া সবাই মাদক ব্যবসায়ী। এরা মোটেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জামায়েতের সঙ্গে মোটেই জড়িত না বরং তারা আওয়ামী লীগ ঘরানার।’


অর্থাৎ, এক্সে ছড়ানো ফুটেজের দাবিটি মিথ্যা।



Topics:



হাসিনা-পুতিনের বৈঠকের ভিডিওটি ২০১৩ সালের
মিথ্যা
৭ ডিসেম্বর ২০২৫

হাসিনা-পুতিনের বৈঠকের ভিডিওটি ২০১৩ সালের

আফগানিস্তান বিষয়ক তথ্যচিত্রের দৃশ্যকে বাংলাদেশে জঙ্গি প্রশিক্ষণ বলে প্রচার
মিথ্যা
২৪ নভেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তান বিষয়ক তথ্যচিত্রের দৃশ্যকে বাংলাদেশে জঙ্গি প্রশিক্ষণ বলে প্রচার

হবিগঞ্জ ইসকন মন্দিরে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়নি, রান্নাঘর থেকে আগুন লেগেছে
মিথ্যা
১১ নভেম্বর ২০২৫

হবিগঞ্জ ইসকন মন্দিরে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়নি, রান্নাঘর থেকে আগুন লেগেছে

ভিডিওটি ভারতে বাংলাদেশি তাড়ানোর নয়, গরু ব্যবসায়ীদের ওপর বিজেপি নেতার হামলার ঘটনার
মিথ্যা
৬ নভেম্বর ২০২৫

ভিডিওটি ভারতে বাংলাদেশি তাড়ানোর নয়, গরু ব্যবসায়ীদের ওপর বিজেপি নেতার হামলার ঘটনার

ভারতে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনাকে বাংলাদশের বলে প্রচার
বিভ্রান্তিকর
৩ নভেম্বর ২০২৫

ভারতে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনাকে বাংলাদশের বলে প্রচার

আপনার মতামত দিন

এই পোস্টটি কি আপনার জন্য সহায়ক ছিল?

এখনো কেউ ভোট দেয়নি। আপনিই প্রথম হোন!

0%

0%

আপনার মতামত শেয়ার করুন:

| মন্তব্য সমূহ:

এখনও কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্যটি করুন!



সমন্বয়ক বা জামায়াতে ইসলামী নয়, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ভিডিও এটি

ফ্যাক্ট চেক

সমন্বয়ক বা জামায়াতে ইসলামী নয়, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ভিডিও এটি

৭ জুলাই ২০২৫

সমন্বয়ক বা জামায়াতে ইসলামী নয়, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ভিডিও এটি

সম্প্রতি সেনাবাহিনী গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র এবং মাদকদ্রব্যসহ স্থানীয় সমন্বয়ক ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের আটক করেছে এমন দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে প্রচার করা হয়েছে।


তবে বাংলাফ্যাক্ট যাচাই করে দেখেছে, ভিডিওতে আটক হওয়া ব্যক্তিরা কেউ সমন্বয়ক কিংবা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী নন। বরং তারা সবাই মাদক ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগপন্থি ছিলেন বলে বাংলাফ্যাক্টকে জানিয়েছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।


ভিডিওতে থাকা মোহনা টিভির লোগোর সূত্রে অনুসন্ধানে গণমাধ্যমটির ফেসবুক পেজে একই ভিডিও পাওয়া যায়। গত ৫ জুলাই প্রকাশিত ভিডিওর শিরোনাম থেকে জানা যায়, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র ও মাদকসহ ৪ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা।

পরবর্তীতে দেশের একাধিক গণমাধ্যমে একই তারিখে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। এসব গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ৪ জুলাই রাতে গোবিন্দগঞ্জে শহরের বুজরুক বোয়ালিয়া এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযানে স্থানীয় আজাদ মন্ডলের বাসা ও ‘ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড’ নামে অফিস থেকে ৩৬টি রামদা, ৪টি হাত কুড়াল, ১টি খেলনা পিস্তল, ৯ টি মোবাইলফোন, ১টি ল্যাপটপ, নগদ ৬ হাজার ৪৫৮ টাকা এবং ৩৭টি ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ৪ জনকে আটক করে। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হচ্ছেন, আজাদ মন্ডল (৩৫), মোশাররফ হোসেন (৩৩), আশাদুল ইসলাম (৪২) ও মেহেদী হাসান (২৫)।
তবে এই বিষয়ে বেশিরভাগ গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে গ্রেফতার হওয়া চার ব্যক্তির রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ পাওয়া যায়নি। তবে দেশ রূপান্তরে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ছত্রছায়ায় ছিলেন।


এই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া চার ব্যক্তির রাজনৈতিক পরিচয় জানতে বাংলাফ্যাক্টের পক্ষ থেকে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি জানান, ‘এই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া সবাই মাদক ব্যবসায়ী। এরা মোটেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জামায়েতের সঙ্গে মোটেই জড়িত না বরং তারা আওয়ামী লীগ ঘরানার।’


অর্থাৎ, এক্সে ছড়ানো ফুটেজের দাবিটি মিথ্যা।