| মিডিয়া লিটারেসি
মিডিয়া লিটারেসি কেন জরুরি?
৭ অক্টোবর ২০২৫

আজকের দিনে আপনি ঘুম থেকে উঠেই যদি মোবাইল ফোন হাতে নেন, দেখবেন—অসংখ্য খবর, বিজ্ঞাপন, ভিডিও, স্ট্যাটাস, শর্টস, মিম—সব একসাথে আপনার সামনে হাজির। প্রতিদিন আমরা গড়ে কয়েকশো তথ্য পাই, কিন্তু সবগুলো কি আসলেই নির্ভরযোগ্য? এই প্রশ্ন থেকেই মিডিয়া লিটারেসির গুরুত্ব শুরু হয়।
তথ্যের প্লাবনে ডুবে যাওয়া:
একটি গবেষণা বলছে, আধুনিক মানুষ প্রতিদিন প্রায় ৩৪ জিবি তথ্য গ্রহণ করে। এত তথ্যের মধ্যে সঠিকটা চিনে নেওয়া কতটা কঠিন, তা সহজেই অনুমান করা যায়। ভুয়া খবর বা “মিসইনফরমেশন” কেবল বিভ্রান্তিই ছড়ায় না, বরং অনেক সময় তা সমাজে উত্তেজনা, ঘৃণা কিংবা সহিংসতাও উসকে দেয়। যেমন: স্বাস্থ্য বিষয়ে ভুল তথ্য মানুষকে বিপজ্জনক সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করতে পারে।
প্রোপাগান্ডা ও বিজ্ঞাপনের ফাঁদ:
ভাবুন তো—আপনার ফিডে একটি বিজ্ঞাপন দেখলেন, যেখানে বলা হচ্ছে এই ওষুধ খেলে মাত্র এক সপ্তাহে ওজন অর্ধেক হয়ে যাবে। অথবা কোনো রাজনৈতিক ভিডিও বারবার এমনভাবে সাজানো হলো যেন আপনাকে শুধু একপাক্ষিক দৃষ্টিভঙ্গিই দেখায়। এগুলোই হলো প্রোপাগান্ডা ও বিজ্ঞাপনের কৌশল। মিডিয়া লিটারেসি আপনাকে শেখায়—বার্তার ভেতরে কী বলা হচ্ছে, আর কী লুকানো আছে তা খুঁজে বের করতে।
সমালোচনামূলক চিন্তা গড়ে তোলা:
মিডিয়া লিটারেসি শুধু ভুয়া খবর চেনার দক্ষতা নয়, বরং সমালোচনামূলক চিন্তার অভ্যাস। কেন এই সংবাদটি শেয়ার করা হলো? কে এর উপকার পাচ্ছে? আমি কি অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে এর সত্যতা যাচাই করতে পারি?—এমন প্রশ্ন করা শুরু করলে ধীরে ধীরে আপনি একজন সচেতন ও দায়িত্বশীল মিডিয়া ব্যবহারকারী হয়ে উঠবেন।
শুধু ভোক্তা নয়, আমরা সবাই নির্মাতা:
আজ আমরা সবাই এক অর্থে সাংবাদিক। ফেসবুকে একটি ছবি শেয়ার করা, ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করা, টুইটারে মতামত দেওয়া—এসবই মিডিয়া কনটেন্ট। তাই শুধু অন্যের কনটেন্ট বোঝা নয়, নিজে যখন কিছু প্রকাশ করি তখনও নৈতিকতা ও দায়িত্বশীলতা বজায় রাখা মিডিয়া লিটারেসির অংশ।
পরবর্তী বিষয়:
মিডিয়া লিটারেসি কী? ভুয়া খবর চেনা, সমালোচনামূলক চিন্তা ও নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি
ভিডিও প্রতিবেদন দেখুন এখানে
আরও জানুন: মিডিয়া লিটারেসি ▶️[প্লেলিস্ট লিঙ্ক]
আপনার মতামত দিন
এই পোস্টটি কি আপনার জন্য সহায়ক ছিল?
আপনার মতামত শেয়ার করুন:

মিডিয়া লিটারেসি
মিডিয়া লিটারেসি কেন জরুরি?
৭ অক্টোবর ২০২৫

আজকের দিনে আপনি ঘুম থেকে উঠেই যদি মোবাইল ফোন হাতে নেন, দেখবেন—অসংখ্য খবর, বিজ্ঞাপন, ভিডিও, স্ট্যাটাস, শর্টস, মিম—সব একসাথে আপনার সামনে হাজির। প্রতিদিন আমরা গড়ে কয়েকশো তথ্য পাই, কিন্তু সবগুলো কি আসলেই নির্ভরযোগ্য? এই প্রশ্ন থেকেই মিডিয়া লিটারেসির গুরুত্ব শুরু হয়।
তথ্যের প্লাবনে ডুবে যাওয়া:
একটি গবেষণা বলছে, আধুনিক মানুষ প্রতিদিন প্রায় ৩৪ জিবি তথ্য গ্রহণ করে। এত তথ্যের মধ্যে সঠিকটা চিনে নেওয়া কতটা কঠিন, তা সহজেই অনুমান করা যায়। ভুয়া খবর বা “মিসইনফরমেশন” কেবল বিভ্রান্তিই ছড়ায় না, বরং অনেক সময় তা সমাজে উত্তেজনা, ঘৃণা কিংবা সহিংসতাও উসকে দেয়। যেমন: স্বাস্থ্য বিষয়ে ভুল তথ্য মানুষকে বিপজ্জনক সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করতে পারে।
প্রোপাগান্ডা ও বিজ্ঞাপনের ফাঁদ:
ভাবুন তো—আপনার ফিডে একটি বিজ্ঞাপন দেখলেন, যেখানে বলা হচ্ছে এই ওষুধ খেলে মাত্র এক সপ্তাহে ওজন অর্ধেক হয়ে যাবে। অথবা কোনো রাজনৈতিক ভিডিও বারবার এমনভাবে সাজানো হলো যেন আপনাকে শুধু একপাক্ষিক দৃষ্টিভঙ্গিই দেখায়। এগুলোই হলো প্রোপাগান্ডা ও বিজ্ঞাপনের কৌশল। মিডিয়া লিটারেসি আপনাকে শেখায়—বার্তার ভেতরে কী বলা হচ্ছে, আর কী লুকানো আছে তা খুঁজে বের করতে।
সমালোচনামূলক চিন্তা গড়ে তোলা:
মিডিয়া লিটারেসি শুধু ভুয়া খবর চেনার দক্ষতা নয়, বরং সমালোচনামূলক চিন্তার অভ্যাস। কেন এই সংবাদটি শেয়ার করা হলো? কে এর উপকার পাচ্ছে? আমি কি অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে এর সত্যতা যাচাই করতে পারি?—এমন প্রশ্ন করা শুরু করলে ধীরে ধীরে আপনি একজন সচেতন ও দায়িত্বশীল মিডিয়া ব্যবহারকারী হয়ে উঠবেন।
শুধু ভোক্তা নয়, আমরা সবাই নির্মাতা:
আজ আমরা সবাই এক অর্থে সাংবাদিক। ফেসবুকে একটি ছবি শেয়ার করা, ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করা, টুইটারে মতামত দেওয়া—এসবই মিডিয়া কনটেন্ট। তাই শুধু অন্যের কনটেন্ট বোঝা নয়, নিজে যখন কিছু প্রকাশ করি তখনও নৈতিকতা ও দায়িত্বশীলতা বজায় রাখা মিডিয়া লিটারেসির অংশ।
পরবর্তী বিষয়:
মিডিয়া লিটারেসি কী? ভুয়া খবর চেনা, সমালোচনামূলক চিন্তা ও নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি
ভিডিও প্রতিবেদন দেখুন এখানে
আরও জানুন: মিডিয়া লিটারেসি ▶️[প্লেলিস্ট লিঙ্ক]