| ফ্যাক্ট চেক | ধর্মীয়
জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদেরা জামায়াতের হাতে নিহত - এ দাবি ভিত্তিহীন
৯ জুলাই ২০২৫
মিথ্যা
২০২৪ সালে জুলাইয়ে শেখ হাসিনার সরকার বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় জামায়েতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা ৯ জন হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে হত্যা করেছে দাবিতে একটি কোলাজ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে প্রচার করা হচ্ছে।
বাংলাফ্যাক্ট যাচাই করে দেখেছে, ২০২৪ সালে জুলাইয় অভ্যুত্থানে শহীদ ৯ জন হিন্দু ধর্মাবলম্বী হত্যার সঙ্গে জামায়েতে ইসলামী জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রকৃতপক্ষে, জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সরকার পক্ষের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে ওই ৯ ব্যক্তি নিহত হন।
আলোচিত দাবিটি যাচাইয়ে ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে মুলধারার পত্রিকাদৈনিক সমকালের ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের ১৩ অক্টোবর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ব্যবহৃত কোলাজ ছবির সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া ছবির হুবহু মিল পাওয়া যায়।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালেরজুলাই অভ্যুত্থানের সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলায় ৯ জন হিন্দু ধর্মাবলম্বী শহীদ হন। তারা হলেন, রিয়া গোপ, দীপ্ত দে, হৃদয় চন্দ্র তারোয়া, রিপন চন্দ্র শীল, রথিন বিশ্বাস, রুদ্র সেন, শুভ শীল, তনয় চন্দ্র দাস এবং সৈকত চন্দ্র দে। প্রতিবেদনে সেই বছরে দূর্গাপুজায় জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারে তাদের অপূর্ণতার বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
তাছাড়া, অন্যান্য গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো বিশ্বস্ত সূত্রেও জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ হিন্দুদের হত্যার ঘটনায় জামায়াতের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
অর্থাৎ, ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে জামায়াতে ইসলাম ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালিয়ে ৯ জন হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে হত্যা করেছে শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা।
Topics:
মিথ্যা
১৬ নভেম্বর ২০২৫
সাতক্ষীরায় বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে কুষ্টিয়ায় মন্দিরে অগ্নিসংযোগ বলে প্রচার
মিথ্যা
২৮ অক্টোবর ২০২৫
নেপালের ভিডিওকে বাংলাদেশে হিন্দু ছেলেকে হত্যার ঘটনা বলে প্রচার
মিথ্যা
১৪ অক্টোবর ২০২৫
সিরাজগঞ্জের আন্না রানী দাসের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাম্প্রদায়িক সংশ্লিষ্টতা নেই
মিথ্যা
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মন্দিরে নামাজের ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়, ভারতের
মিথ্যা
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মাজার ইস্যুতে জামায়াতে ইসলামীর আমিরের নাম জড়িয়ে ‘আমার দেশ’ এর লোগো সম্বলিত ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার
আপনার মতামত দিন
এই পোস্টটি কি আপনার জন্য সহায়ক ছিল?
এখনো কেউ ভোট দেয়নি। আপনিই প্রথম হোন!
0%
0%
আপনার মতামত শেয়ার করুন:
| মন্তব্য সমূহ:
এখনও কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্যটি করুন!
| আরও পড়ুন
মিথ্যা
সাতক্ষীরায় বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে কুষ্টিয়ায় মন্দিরে অগ্নিসংযোগ বলে প্রচার
মিথ্যা
শর্টসার্কিট থেকে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে মন্দিরে সাম্প্রদায়িক হামলা দাবিতে অপপ্রচার
মিথ্যা
আহত মুসলিম নারীকে ধর্ষিত হিন্দু নারী দাবি করে অপপ্রচার
মিথ্যা
মাজার ইস্যুতে জামায়াতে ইসলামীর আমিরের নাম জড়িয়ে ‘আমার দেশ’ এর লোগো সম্বলিত ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার
ফ্যাক্ট চেক
জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদেরা জামায়াতের হাতে নিহত - এ দাবি ভিত্তিহীন
৯ জুলাই ২০২৫
২০২৪ সালে জুলাইয়ে শেখ হাসিনার সরকার বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় জামায়েতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা ৯ জন হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে হত্যা করেছে দাবিতে একটি কোলাজ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে প্রচার করা হচ্ছে।
বাংলাফ্যাক্ট যাচাই করে দেখেছে, ২০২৪ সালে জুলাইয় অভ্যুত্থানে শহীদ ৯ জন হিন্দু ধর্মাবলম্বী হত্যার সঙ্গে জামায়েতে ইসলামী জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রকৃতপক্ষে, জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সরকার পক্ষের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে ওই ৯ ব্যক্তি নিহত হন।
আলোচিত দাবিটি যাচাইয়ে ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে মুলধারার পত্রিকাদৈনিক সমকালের ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের ১৩ অক্টোবর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ব্যবহৃত কোলাজ ছবির সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া ছবির হুবহু মিল পাওয়া যায়।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালেরজুলাই অভ্যুত্থানের সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলায় ৯ জন হিন্দু ধর্মাবলম্বী শহীদ হন। তারা হলেন, রিয়া গোপ, দীপ্ত দে, হৃদয় চন্দ্র তারোয়া, রিপন চন্দ্র শীল, রথিন বিশ্বাস, রুদ্র সেন, শুভ শীল, তনয় চন্দ্র দাস এবং সৈকত চন্দ্র দে। প্রতিবেদনে সেই বছরে দূর্গাপুজায় জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারে তাদের অপূর্ণতার বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
তাছাড়া, অন্যান্য গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো বিশ্বস্ত সূত্রেও জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ হিন্দুদের হত্যার ঘটনায় জামায়াতের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
অর্থাৎ, ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে জামায়াতে ইসলাম ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালিয়ে ৯ জন হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে হত্যা করেছে শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা।