| বিশ্লেষণ

দীপ্ত টেলিভিশনের নিউজ বুলেটিন বন্ধ করেনি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

২৯ এপ্রিল ২০২৫



‘বিতর্কিত’ প্রশ্ন করার জেরে দীপ্ত টেলিভিশনের নিউজ বুলেটিন বন্ধ করে দিয়েছে সরকার— বিষয়টি সত্য নয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এ তথ্যটি সত্য নয় বলে জানান দীপ্ত টেলিভিশনের হেড অফ নিউজ এস এম আকাশ। আকাশ বাংলাফ্যাক্টকে বলেন, ‘আমাদের আপাতত নিউজ বুলেটিন বন্ধ রয়েছে। এটা ম্যানেজমেন্টের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এক্সটার্নাল (বাইরের) কোনো বিষয় নয়। সরকারের পক্ষ থেকে কোন ধরণের নিষেধাজ্ঞা বা বিধিনিষেধ নেই’।

গতকাল সোমবার সচিবালয়ে সংস্কৃতি উপদেষ্টার এক ব্রিফিংয়ে দীপ্ত টিভির ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদের সংখ্যা নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীক দীপ্ত টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার রহমান মিজান প্রশ্ন করেন, ‘জুলাই মাসে ১৪০০ শহীদের কথা আপনি বলছেন কেন? এই সংখ্যা কোথায় পেয়েছেন? এবং কোন যুক্তিতে আপনি হাসিনাকে খুনি বলছেন? আদালত তো এখনো রায় দেয়নি।’ চ্যানেল আইয়ের রিপোর্টার রফিকুল বাসার প্রশ্ন রাখেন, ‘জাতীয় ঐক্য কিভাবে হবে যদি শোভাযাত্রায় আপনারা হাসিনার এফিজি রাখেন?’। আর সংস্কৃতি উপদেষ্টাকে লক্ষ্য করে এটিএন বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি ফজলে রাব্বি প্রশ্ন রাখেন, ‘১৪০০ হত্যা করেছে এটা আপনি কিভাবে বললেন’। প্রেস ব্রিফিংয়ে দেখা যায়, ফজলে রাব্বি প্রথম প্রশ্ন শুরু করেন। তারপর রহমান মিজান এবং রফিকুল বাসারও প্রশ্ন করেন উপদেষ্টাকে।

এদিকে সাংবাদিকতার নিয়ম না মানার কারণে ফজলে রাব্বি ও রহমান মিজানকে চাকরিচ্যুত করেছে কর্তৃপক্ষ। একইসময়ে দীপ্ত টেলিভিশনের সংবাদ বুলেটিনও বন্ধ রেখেছে চ্যানেলটির কর্তৃপক্ষ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিউজ বুলেটিন বন্ধ করা, দুই সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করার দাপ্তরিক ঘটনাটিকে সরকারের হস্তক্ষেপ বলে উল্লেখ করে অসত্য তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। অথচ টেলিভিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো রকমের চাপ দেওয়া হয়নি।

এদিকে, আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ফ্যাসিবাদের ১৫ বছরে গণমাধ্যমের বাস্তবতা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘এক সাংবাদিক গণহত্যার পক্ষ নিয়ে প্রশ্ন করার প্রেক্ষিতে দীপ্ত টিভির সংবাদ বিভাগ তারা নিজেরাই বন্ধ করে দিয়েছে। সরকার এখানে কিছু বলেনি, কাউকে কলও দেওয়া হয়নি’।

আপনার মতামত দিন

এই পোস্টটি কি আপনার জন্য সহায়ক ছিল?

আপনার মতামত শেয়ার করুন:




বিশ্লেষণ

দীপ্ত টেলিভিশনের নিউজ বুলেটিন বন্ধ করেনি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

২৯ এপ্রিল ২০২৫

দীপ্ত টেলিভিশনের নিউজ বুলেটিন বন্ধ করেনি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

‘বিতর্কিত’ প্রশ্ন করার জেরে দীপ্ত টেলিভিশনের নিউজ বুলেটিন বন্ধ করে দিয়েছে সরকার— বিষয়টি সত্য নয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এ তথ্যটি সত্য নয় বলে জানান দীপ্ত টেলিভিশনের হেড অফ নিউজ এস এম আকাশ। আকাশ বাংলাফ্যাক্টকে বলেন, ‘আমাদের আপাতত নিউজ বুলেটিন বন্ধ রয়েছে। এটা ম্যানেজমেন্টের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এক্সটার্নাল (বাইরের) কোনো বিষয় নয়। সরকারের পক্ষ থেকে কোন ধরণের নিষেধাজ্ঞা বা বিধিনিষেধ নেই’।

গতকাল সোমবার সচিবালয়ে সংস্কৃতি উপদেষ্টার এক ব্রিফিংয়ে দীপ্ত টিভির ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদের সংখ্যা নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীক দীপ্ত টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার রহমান মিজান প্রশ্ন করেন, ‘জুলাই মাসে ১৪০০ শহীদের কথা আপনি বলছেন কেন? এই সংখ্যা কোথায় পেয়েছেন? এবং কোন যুক্তিতে আপনি হাসিনাকে খুনি বলছেন? আদালত তো এখনো রায় দেয়নি।’ চ্যানেল আইয়ের রিপোর্টার রফিকুল বাসার প্রশ্ন রাখেন, ‘জাতীয় ঐক্য কিভাবে হবে যদি শোভাযাত্রায় আপনারা হাসিনার এফিজি রাখেন?’। আর সংস্কৃতি উপদেষ্টাকে লক্ষ্য করে এটিএন বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি ফজলে রাব্বি প্রশ্ন রাখেন, ‘১৪০০ হত্যা করেছে এটা আপনি কিভাবে বললেন’। প্রেস ব্রিফিংয়ে দেখা যায়, ফজলে রাব্বি প্রথম প্রশ্ন শুরু করেন। তারপর রহমান মিজান এবং রফিকুল বাসারও প্রশ্ন করেন উপদেষ্টাকে।

এদিকে সাংবাদিকতার নিয়ম না মানার কারণে ফজলে রাব্বি ও রহমান মিজানকে চাকরিচ্যুত করেছে কর্তৃপক্ষ। একইসময়ে দীপ্ত টেলিভিশনের সংবাদ বুলেটিনও বন্ধ রেখেছে চ্যানেলটির কর্তৃপক্ষ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিউজ বুলেটিন বন্ধ করা, দুই সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করার দাপ্তরিক ঘটনাটিকে সরকারের হস্তক্ষেপ বলে উল্লেখ করে অসত্য তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। অথচ টেলিভিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো রকমের চাপ দেওয়া হয়নি।

এদিকে, আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ফ্যাসিবাদের ১৫ বছরে গণমাধ্যমের বাস্তবতা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘এক সাংবাদিক গণহত্যার পক্ষ নিয়ে প্রশ্ন করার প্রেক্ষিতে দীপ্ত টিভির সংবাদ বিভাগ তারা নিজেরাই বন্ধ করে দিয়েছে। সরকার এখানে কিছু বলেনি, কাউকে কলও দেওয়া হয়নি’।