| বিশ্লেষণ
বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে পাসপোর্ট সূচকের খবর
২০ অক্টোবর ২০২৫

যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরামর্শক সংস্থা হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের প্রকাশিত সর্বশেষ বৈশ্বিক পাসপোর্ট সূচক (অক্টোবর ২০২৫) নিয়ে দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও নেতিবাচক ফ্রেমিং লক্ষ্য করা গেছে। অক্টোবরে প্রকাশিত এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০০তম।
দেশের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি
হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স বিশ্বের ১৯৯টি দেশ ও অঞ্চলকে বিবেচনায় নিয়ে তাদের বৈশ্বিক পাসপোর্ট সূচক তৈরি করে। কিন্তু র্যাঙ্কিংয়ে কিছু দেশ যৌথভাবে একই স্থান পাওয়ায় মোট ক্রমসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৬টি। কিন্তু, কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, যুগান্তর , বাংলানিউজ টুয়েন্টিফোর, যায়যায়দিন , শেয়ার বিজ , আমাদের সময়, ঢাকা পোস্ট, ও নিউ এইজ-এর মতো কয়েকটি সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে ‘১০৬টি’ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের ১০০তম অবস্থান বলে উল্লেখ করেছে।
নেতিবাচক ফ্রেমিং
পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশের ১০০ তম অবস্থান নিয়ে কালের কণ্ঠ ও বাংলাদেশ প্রতিদিন একই শিরোনাম— ‘গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট’ ব্যবহার করেছে। যদিও প্রতিবেদনের শুরুতেই পত্রিকা দুটি “গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে” উল্লেখ করেছে। শিরোনাম ও সংবাদের মধ্যে পাসপোর্ট সূচকে সাম্প্রতিক চূড়ান্ত অবনতির ইঙ্গিত স্পষ্ট ছিল।
গত এক দশকে পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান সাধারণত ৯৫ থেকে ১০০-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। ২০২৩, ২০২২ ও ২০২১ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল যথাক্রমে ১০১, ১০৩ ও ১০৮। [দেখুন ছবি]
সূত্র: হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স
অক্টোবর ২০২৫-এ বাংলাদেশের ১০০তম অবস্থান একটি ধারাবাহিক প্রবণতারই অংশ। এ বছর জানুয়ারিতেও অবস্থান ১০০তম ছিল এবং জুলাইয়ে তা উন্নত হয়ে ৯৪তম হয়েছিল। অর্থাৎ, মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে সূচকের কিছুটা অবনমন এবং ধারবাহিক উত্থান-পতনের প্রবণতাকে ‘গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে’ শিরোনামে ফ্রেমিং ও প্রকাশ বিভ্রান্তিকর।
উল্লেখ্য, হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের পাসপোর্ট র্যাঙ্কিং নিয়ে সংবাদ পরিবেশনায় বিভ্রান্তি নতুন নয়। ২০২২ সালে বিভিন্ন গণমাধ্যম সূচকে বিবেচিত দেশের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করেছিল। ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্টওয়াচ এটি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।
আপনার মতামত দিন
এই পোস্টটি কি আপনার জন্য সহায়ক ছিল?
আপনার মতামত শেয়ার করুন:

বিশ্লেষণ
বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে পাসপোর্ট সূচকের খবর
২০ অক্টোবর ২০২৫

1391">
যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরামর্শক সংস্থা হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের প্রকাশিত সর্বশেষ বৈশ্বিক পাসপোর্ট সূচক (অক্টোবর ২০২৫) নিয়ে দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও নেতিবাচক ফ্রেমিং লক্ষ্য করা গেছে। অক্টোবরে প্রকাশিত এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০০তম।
দেশের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি
হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স বিশ্বের ১৯৯টি দেশ ও অঞ্চলকে বিবেচনায় নিয়ে তাদের বৈশ্বিক পাসপোর্ট সূচক তৈরি করে। কিন্তু র্যাঙ্কিংয়ে কিছু দেশ যৌথভাবে একই স্থান পাওয়ায় মোট ক্রমসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৬টি। কিন্তু, কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, যুগান্তর , বাংলানিউজ টুয়েন্টিফোর, যায়যায়দিন , শেয়ার বিজ , আমাদের সময়, ঢাকা পোস্ট, ও নিউ এইজ-এর মতো কয়েকটি সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে ‘১০৬টি’ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের ১০০তম অবস্থান বলে উল্লেখ করেছে।
নেতিবাচক ফ্রেমিং
পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশের ১০০ তম অবস্থান নিয়ে কালের কণ্ঠ ও বাংলাদেশ প্রতিদিন একই শিরোনাম— ‘গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট’ ব্যবহার করেছে। যদিও প্রতিবেদনের শুরুতেই পত্রিকা দুটি “গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে” উল্লেখ করেছে। শিরোনাম ও সংবাদের মধ্যে পাসপোর্ট সূচকে সাম্প্রতিক চূড়ান্ত অবনতির ইঙ্গিত স্পষ্ট ছিল।
গত এক দশকে পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান সাধারণত ৯৫ থেকে ১০০-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। ২০২৩, ২০২২ ও ২০২১ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল যথাক্রমে ১০১, ১০৩ ও ১০৮। [দেখুন ছবি]
সূত্র: হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স
অক্টোবর ২০২৫-এ বাংলাদেশের ১০০তম অবস্থান একটি ধারাবাহিক প্রবণতারই অংশ। এ বছর জানুয়ারিতেও অবস্থান ১০০তম ছিল এবং জুলাইয়ে তা উন্নত হয়ে ৯৪তম হয়েছিল। অর্থাৎ, মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে সূচকের কিছুটা অবনমন এবং ধারবাহিক উত্থান-পতনের প্রবণতাকে ‘গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে’ শিরোনামে ফ্রেমিং ও প্রকাশ বিভ্রান্তিকর।
উল্লেখ্য, হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের পাসপোর্ট র্যাঙ্কিং নিয়ে সংবাদ পরিবেশনায় বিভ্রান্তি নতুন নয়। ২০২২ সালে বিভিন্ন গণমাধ্যম সূচকে বিবেচিত দেশের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করেছিল। ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্টওয়াচ এটি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।