| বিশ্লেষণ
গাজীপুরে নিহত সাংবাদিক তুহিন কি আদৌ ‘চাঁদাবাজি’ নিয়ে কোনো লাইভ করেছিলেন?
৮ অক্টোবর ২০২৫

গাজীপুরে আসাদুজ্জামান তুহিন নামে এক সাংবাদিককে বৃহস্পতিবার রাতে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। বিভিন্ন গণমাধ্যম এই সংক্রান্ত সংবাদের শিরোনামে উল্লেখ করে যে, নিহত সাংবাদিক বিকেলে চাঁদাবাজি নিয়ে একটি লাইভ করেছেন। চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভের পর সাংবাদিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়, এমন ধরনের শিরোনামে খবর প্রকাশ করে প্রথম আলো, সমকাল, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, ইত্তেফাক, দেশ রূপান্তরসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম। এসব সংবাদের বিস্তারিত বর্ণনায় “তিনি চাঁদাবাজি নিয়ে বিকেলে ফেসবুকে লাইভ করেছিলেন”-এর বেশি কিছু লেখা হয়নি।
নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের ফেসবুক একাউন্টে ৭ আগস্টে দেয়া ৫টি পাবলিক পোস্ট দেখা যায়, এসবের কোনোটিই লাইভ নয়, চাঁদাবাজির সাথে সম্পর্কিতও নয়। এছাড়া তিনি “দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ” নামের যে গণমাধ্যমে কাজ করতেন, সেটির ফেসবুক পেইজ ও ইউটিউব চ্যানেলেও ৭ আগস্টে কোনো লাইভ ভিডিও দেখা যায়নি।
আসাদুজ্জামান তুহিন লাইভ ভিডিও করে পরে ডিলিট করে দিয়েছেন কিনা, বা প্রাইভেসি দিয়ে রেখেছিলেন কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে প্রশ্ন তোলা যায়, তিনি আদৌ লাইভ ভিডিও করেছিলেন কিনা।
উল্লেখ্য, প্রথম আলো প্রথমে “বিকেলে চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভ, রাতে প্রকাশ্যে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা” শিরোনামে সংবাদ প্রচার করলেও পরে সংশোধনী দিয়ে লিখেছে, “স্থানীয় সূত্র থেকে পাওয়া প্রাথমিক তথ্যের বরাতে এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ফুটপাত ও দোকানপাট থেকে চাঁদাবাজি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে লাইভ করেছিলেন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান। পরে তাঁর প্রোফাইল ঘেঁটে এমন কোনো লাইভের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাই ৭ আগস্ট রাত ১১টা ৩৮ মিনিটে তথ্যটি সংশোধন করা হলো।”
আপনার মতামত দিন
এই পোস্টটি কি আপনার জন্য সহায়ক ছিল?
আপনার মতামত শেয়ার করুন:

বিশ্লেষণ
গাজীপুরে নিহত সাংবাদিক তুহিন কি আদৌ ‘চাঁদাবাজি’ নিয়ে কোনো লাইভ করেছিলেন?
৮ অক্টোবর ২০২৫

গাজীপুরে আসাদুজ্জামান তুহিন নামে এক সাংবাদিককে বৃহস্পতিবার রাতে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। বিভিন্ন গণমাধ্যম এই সংক্রান্ত সংবাদের শিরোনামে উল্লেখ করে যে, নিহত সাংবাদিক বিকেলে চাঁদাবাজি নিয়ে একটি লাইভ করেছেন। চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভের পর সাংবাদিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়, এমন ধরনের শিরোনামে খবর প্রকাশ করে প্রথম আলো, সমকাল, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, ইত্তেফাক, দেশ রূপান্তরসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম। এসব সংবাদের বিস্তারিত বর্ণনায় “তিনি চাঁদাবাজি নিয়ে বিকেলে ফেসবুকে লাইভ করেছিলেন”-এর বেশি কিছু লেখা হয়নি।
নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের ফেসবুক একাউন্টে ৭ আগস্টে দেয়া ৫টি পাবলিক পোস্ট দেখা যায়, এসবের কোনোটিই লাইভ নয়, চাঁদাবাজির সাথে সম্পর্কিতও নয়। এছাড়া তিনি “দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ” নামের যে গণমাধ্যমে কাজ করতেন, সেটির ফেসবুক পেইজ ও ইউটিউব চ্যানেলেও ৭ আগস্টে কোনো লাইভ ভিডিও দেখা যায়নি।
আসাদুজ্জামান তুহিন লাইভ ভিডিও করে পরে ডিলিট করে দিয়েছেন কিনা, বা প্রাইভেসি দিয়ে রেখেছিলেন কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে প্রশ্ন তোলা যায়, তিনি আদৌ লাইভ ভিডিও করেছিলেন কিনা।
উল্লেখ্য, প্রথম আলো প্রথমে “বিকেলে চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভ, রাতে প্রকাশ্যে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা” শিরোনামে সংবাদ প্রচার করলেও পরে সংশোধনী দিয়ে লিখেছে, “স্থানীয় সূত্র থেকে পাওয়া প্রাথমিক তথ্যের বরাতে এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ফুটপাত ও দোকানপাট থেকে চাঁদাবাজি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে লাইভ করেছিলেন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান। পরে তাঁর প্রোফাইল ঘেঁটে এমন কোনো লাইভের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাই ৭ আগস্ট রাত ১১টা ৩৮ মিনিটে তথ্যটি সংশোধন করা হলো।”