| বিশ্লেষণ
কবি রফিক আজাদের বাড়ি ভাঙা হয়নি
১৭ এপ্রিল ২০২৫
রাজধানীর ধানমন্ডির ১ নম্বর সড়কের ১৩৯/৪ নম্বর বাড়ির চারটি ইউনিটের একটি বরাদ্দ পেয়েছিলেন কবি রফিক আজাদের স্ত্রী দিলারা হাফিজ। বাড়িটি কবি রফিক আজাদের নামে নয়, তার স্ত্রী দিলারা হাফিজের নামে বরাদ্দ ছিল, সেই বাড়ি ভাঙা হয়নি।
আশির দশকে ধানমন্ডির ১ নম্বর সড়কের ১৩৯/৪ নম্বর বাড়ির চারটি ইউনিট চারটি পরিবারকে সরকারিভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়। তখন ইডেন কলেজের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত দিলারা হাফিজ ‘এস্টেট অফিস’ থেকে একটি ইউনিট বরাদ্দ পান। বরাদ্দনামায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়, এই বরাদ্দের দ্বারা বাসার ওপর কোনো অধিকার বর্তাবে না, তবে পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত সেখানে বসবাস করতে পারবেন।
দিলারা হাফিজ বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস অনুযায়ী, “অবসর গ্রহণের ২ (দুই) মাসের মধ্যে দখল ত্যাগ করতে হবে। তবে যদি উক্ত কর্মচারীর সন্তানের লেখাপড়ার কারণে বরাদ্দ বহাল রাখা একান্ত আবশ্যক হয়, তা হলে উক্ত বরাদ্দ ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত বহাল রাখার বিষয়টি সরকারের ইচ্ছাধীন থাকবে। কিন্তু অবসর গ্রহণের কয়েক বছর পরও দিলারা জামান সরকারী ভবনে বসবাস করছেন এবং তার ইউনিটটি ‘কবি রফিক স্মৃতি পর্ষদের’ নামে স্থায়ী বন্দোবস্তের জন্য তিনি সরকারের নিকট আবেদন জানিয়ে আসছেন। তিনি জানান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান এ ব্যাপারে তাকে বলেছেন, এটা আইনের ব্যাপার। আইন তার নিজের গতিতে চলবে।
৪টি ইউনিটের মধ্যে রফিক আজাদ যে ইউনিটে বসবাস করতেন, তা একটুও ভাঙা হয়নি। দিলারা হাফিজ গণমাধ্যমে “কোনো ধরনের নোটিশ না দিয়ে” ভাঙার কাজ শুরু করার অভিযোগ করেন। কিন্তু জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক তায়েব উর রহমান আশিক জানান, তারা নোটিশ দিতে গেলে দিলারা হাফিজ তা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান, যার ভিডিও তাদের কাছে সংরক্ষিত আছে। নোটিশ গ্রহণ না করায় দেয়ালে নোটিশ ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছিল।
এ বাসভবন সংক্রান্ত একটি মামলা হাইকোর্টে চলমান। আগামী ২৫ মে এর সাক্ষ্যগ্রহণ হবে। আদালতের নির্দেশনা অনুযারে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
Topics:
বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন, পত্রিকায় যেভাবে এসেছে
যুবদল নেতা হত্যার ঘটনাকে ভারতীয় মিডিয়ায় হাসিনার রায় পরবর্তী সহিংসতা হিসেবে প্রচার
Indian media frames the murder of a Jubo Dal leader as post-verdict violence following Hasina’s sentencing
ইন্টারনেটে আগুন সন্ত্রাসের নির্দেশনা ও উষ্কানি দিচ্ছে আওয়ামী লীগের এক্টিভিস্টরা
AI-Generated Online Content
Targeting Political Parties, Government, and Security Forces
আপনার মতামত দিন
এই পোস্টটি কি আপনার জন্য সহায়ক ছিল?
এখনো কেউ ভোট দেয়নি। আপনিই প্রথম হোন!
0%
0%
আপনার মতামত শেয়ার করুন:
| মন্তব্য সমূহ:
এখনও কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্যটি করুন!
বিশ্লেষণ
কবি রফিক আজাদের বাড়ি ভাঙা হয়নি
১৭ এপ্রিল ২০২৫
রাজধানীর ধানমন্ডির ১ নম্বর সড়কের ১৩৯/৪ নম্বর বাড়ির চারটি ইউনিটের একটি বরাদ্দ পেয়েছিলেন কবি রফিক আজাদের স্ত্রী দিলারা হাফিজ। বাড়িটি কবি রফিক আজাদের নামে নয়, তার স্ত্রী দিলারা হাফিজের নামে বরাদ্দ ছিল, সেই বাড়ি ভাঙা হয়নি।
আশির দশকে ধানমন্ডির ১ নম্বর সড়কের ১৩৯/৪ নম্বর বাড়ির চারটি ইউনিট চারটি পরিবারকে সরকারিভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়। তখন ইডেন কলেজের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত দিলারা হাফিজ ‘এস্টেট অফিস’ থেকে একটি ইউনিট বরাদ্দ পান। বরাদ্দনামায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়, এই বরাদ্দের দ্বারা বাসার ওপর কোনো অধিকার বর্তাবে না, তবে পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত সেখানে বসবাস করতে পারবেন।
দিলারা হাফিজ বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস অনুযায়ী, “অবসর গ্রহণের ২ (দুই) মাসের মধ্যে দখল ত্যাগ করতে হবে। তবে যদি উক্ত কর্মচারীর সন্তানের লেখাপড়ার কারণে বরাদ্দ বহাল রাখা একান্ত আবশ্যক হয়, তা হলে উক্ত বরাদ্দ ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত বহাল রাখার বিষয়টি সরকারের ইচ্ছাধীন থাকবে। কিন্তু অবসর গ্রহণের কয়েক বছর পরও দিলারা জামান সরকারী ভবনে বসবাস করছেন এবং তার ইউনিটটি ‘কবি রফিক স্মৃতি পর্ষদের’ নামে স্থায়ী বন্দোবস্তের জন্য তিনি সরকারের নিকট আবেদন জানিয়ে আসছেন। তিনি জানান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান এ ব্যাপারে তাকে বলেছেন, এটা আইনের ব্যাপার। আইন তার নিজের গতিতে চলবে।
৪টি ইউনিটের মধ্যে রফিক আজাদ যে ইউনিটে বসবাস করতেন, তা একটুও ভাঙা হয়নি। দিলারা হাফিজ গণমাধ্যমে “কোনো ধরনের নোটিশ না দিয়ে” ভাঙার কাজ শুরু করার অভিযোগ করেন। কিন্তু জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক তায়েব উর রহমান আশিক জানান, তারা নোটিশ দিতে গেলে দিলারা হাফিজ তা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান, যার ভিডিও তাদের কাছে সংরক্ষিত আছে। নোটিশ গ্রহণ না করায় দেয়ালে নোটিশ ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছিল।
এ বাসভবন সংক্রান্ত একটি মামলা হাইকোর্টে চলমান। আগামী ২৫ মে এর সাক্ষ্যগ্রহণ হবে। আদালতের নির্দেশনা অনুযারে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।