| বিশ্লেষণ

বিজেপি নিয়ন্ত্রিত বিএসএফকে ব্যর্থ দেখাতে এবং তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত পুলিশের ব্যর্থতা ঢাকতেই কি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের অভিযোগ?

১৯ এপ্রিল ২০২৫


বিজেপি নিয়ন্ত্রিত বিএসএফকে ব্যর্থ দেখাতে এবং তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত পুলিশের ব্যর্থতা ঢাকতেই কি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের অভিযোগ?

পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে দাঙ্গার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৫ এপ্রিল অভিযোগ করেছেন যে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বাংলাদেশি তরুণদের পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করতে দিচ্ছে, যা দাঙ্গা ও অস্থিতিশীলতার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০০ জনের বেশি লোককে গ্রেফতার করা হলেও, তাদের মধ্যে কোনো বাংলাদেশি আছে বলে তথ্য মেলেনি। থাকলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্য প্রমাণের জন্য নিশ্চয়ই সেই তথ্য সামনে আনতেন। বিজেপিও এই প্রশ্নটি তুলেছে। বোঝা যাচ্ছে, বিজেপি-তৃণমূলের একে অপরকে দোষারোপের রাজনীতিতে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ ভিত্তিহীনভাবে আনা হচ্ছে। সেই সাথে রাজ্যের নিয়ন্ত্রাধীন রাজ্যপুলিশের ব্যর্থতা ঢাকতে কেন্দ্রনিয়ন্ত্রিত বিএসএফ এবং সেই সঙ্গে বাংলাদেশীদের টেনে আনা হতে পারে।

মমতার এরকম অভিযোগ নতুন নয়। এবছর জানুয়ারিতেও তিনি দাবি করেছিলেন যে, একটি 'ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনার' অংশ হিসেবে বিএসএফ বাংলাদেশীদের ঢুকতে দিচ্ছে, যারা অপরাধ করছে এবং তার সরকারকে দুর্বল করছে। অবশ্য গত কয়েক মাসে এর সপক্ষেও তিনি কোনো প্রমাণ হাজির করেননি।

বিএসএফকে বারবার অভিযুক্ত করার পেছনে রাজনৈতিক কারণও স্পষ্ট। বিএসএফ কেন্দ্রীয় সরকারের, অর্থাৎ বিজেপি সরকারের অধীনস্থ বাহিনী। রাজ্য পুলিশ এবং বিএসএফের মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন যে, বিএসএফ ভোটে প্রভাব ফেলার চেষ্টা করছে। এদিকে আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন, ফলে এটি স্পষ্ট যে, মমতা তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থেকেই বিএসএফকে দোষারোপ করেছেন এবং সীমান্তবর্তী রাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের অভিযোগ করছেন।



Topics:



বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন, পত্রিকায় যেভাবে এসেছে
২ ডিসেম্বর ২০২৫

বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন, পত্রিকায় যেভাবে এসেছে

যুবদল নেতা হত্যার ঘটনাকে ভারতীয় মিডিয়ায় হাসিনার রায় পরবর্তী সহিংসতা হিসেবে প্রচার
১৮ নভেম্বর ২০২৫

যুবদল নেতা হত্যার ঘটনাকে ভারতীয় মিডিয়ায় হাসিনার রায় পরবর্তী সহিংসতা হিসেবে প্রচার

Indian media frames the murder of a Jubo Dal leader as post-verdict violence following Hasina’s sentencing
১৮ নভেম্বর ২০২৫

Indian media frames the murder of a Jubo Dal leader as post-verdict violence following Hasina’s sentencing

ইন্টারনেটে আগুন সন্ত্রাসের নির্দেশনা ও উষ্কানি দিচ্ছে আওয়ামী লীগের এক্টিভিস্টরা
১২ নভেম্বর ২০২৫

ইন্টারনেটে আগুন সন্ত্রাসের নির্দেশনা ও উষ্কানি দিচ্ছে আওয়ামী লীগের এক্টিভিস্টরা

AI-Generated Online Content
Targeting Political Parties, Government, and Security Forces
২৮ অক্টোবর ২০২৫

AI-Generated Online Content

Targeting Political Parties, Government, and Security Forces

আপনার মতামত দিন

এই পোস্টটি কি আপনার জন্য সহায়ক ছিল?

এখনো কেউ ভোট দেয়নি। আপনিই প্রথম হোন!

0%

0%

আপনার মতামত শেয়ার করুন:

| মন্তব্য সমূহ:

এখনও কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্যটি করুন!



বিজেপি নিয়ন্ত্রিত বিএসএফকে ব্যর্থ দেখাতে এবং তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত পুলিশের ব্যর্থতা ঢাকতেই কি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের অভিযোগ?

বিশ্লেষণ

বিজেপি নিয়ন্ত্রিত বিএসএফকে ব্যর্থ দেখাতে এবং তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত পুলিশের ব্যর্থতা ঢাকতেই কি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের অভিযোগ?

১৯ এপ্রিল ২০২৫

বিজেপি নিয়ন্ত্রিত বিএসএফকে ব্যর্থ দেখাতে এবং তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত পুলিশের ব্যর্থতা ঢাকতেই কি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের অভিযোগ?

পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে দাঙ্গার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৫ এপ্রিল অভিযোগ করেছেন যে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বাংলাদেশি তরুণদের পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করতে দিচ্ছে, যা দাঙ্গা ও অস্থিতিশীলতার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০০ জনের বেশি লোককে গ্রেফতার করা হলেও, তাদের মধ্যে কোনো বাংলাদেশি আছে বলে তথ্য মেলেনি। থাকলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্য প্রমাণের জন্য নিশ্চয়ই সেই তথ্য সামনে আনতেন। বিজেপিও এই প্রশ্নটি তুলেছে। বোঝা যাচ্ছে, বিজেপি-তৃণমূলের একে অপরকে দোষারোপের রাজনীতিতে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ ভিত্তিহীনভাবে আনা হচ্ছে। সেই সাথে রাজ্যের নিয়ন্ত্রাধীন রাজ্যপুলিশের ব্যর্থতা ঢাকতে কেন্দ্রনিয়ন্ত্রিত বিএসএফ এবং সেই সঙ্গে বাংলাদেশীদের টেনে আনা হতে পারে।

মমতার এরকম অভিযোগ নতুন নয়। এবছর জানুয়ারিতেও তিনি দাবি করেছিলেন যে, একটি 'ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনার' অংশ হিসেবে বিএসএফ বাংলাদেশীদের ঢুকতে দিচ্ছে, যারা অপরাধ করছে এবং তার সরকারকে দুর্বল করছে। অবশ্য গত কয়েক মাসে এর সপক্ষেও তিনি কোনো প্রমাণ হাজির করেননি।

বিএসএফকে বারবার অভিযুক্ত করার পেছনে রাজনৈতিক কারণও স্পষ্ট। বিএসএফ কেন্দ্রীয় সরকারের, অর্থাৎ বিজেপি সরকারের অধীনস্থ বাহিনী। রাজ্য পুলিশ এবং বিএসএফের মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন যে, বিএসএফ ভোটে প্রভাব ফেলার চেষ্টা করছে। এদিকে আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন, ফলে এটি স্পষ্ট যে, মমতা তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থেকেই বিএসএফকে দোষারোপ করেছেন এবং সীমান্তবর্তী রাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের অভিযোগ করছেন।