| বিশ্লেষণ

ইসরায়েলী গণহত্যার শিকার সাংবাদিকরাও

৯ এপ্রিল ২০২৫


ইসরায়েলী গণহত্যার শিকার সাংবাদিকরাও

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় অভিযান শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়ে আসছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ওয়াটসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, হামাস–ইসরায়েল সংঘাতের পর দখলদার ইসরায়েলের হামলায় ২৩২ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। অর্থাৎ, প্রতি মাসে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আইডিএফ গড়ে ১৩ জন করে সাংবাদিককে হত্যা করেছে। প্রতিবেদনটি চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ১ তারিখে প্রকাশ হয়। ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ‘কস্ট অব ওয়ার’ প্রকল্পের এ গবেষণার শিরোনাম ছিল- News Graveyards: How Dangers to War Reporters Endanger the World.

কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার তথ্যমতে, ওয়াটসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের প্রতিবেদন প্রকাশের এক সপ্তাহের মধ্যেই ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় আরও দুই সাংবাদিক নিহত হয়েছে।
আল জাজিরা বলছে, গত ৭ এপ্রিল আল নাসের হাসপাতালের কাছে এক তাঁবুতে ইসরায়েলি বোমা হামলায় গুরুতর দগ্ধ হওয়া ‘প্যালেস্টাইন টুডে’–এর সাংবাদিক আহমেদ মানসুরও মারা যান। সংঘাতের শুরু থেকে ইসরায়েলী বাহিনীর লক্ষ্যবস্ত ছিল সাংবাদিকরা। শুধু সাংবাদিকরা নন, যুদ্ধের যে নীতিমালা আছে তার কোনটাই মানছেন না ইসরায়েল। জেনেভার চতুর্থ কনভেনশনে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার কথা বলা আছে। এতে বলা হয়েছে যে, যুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর বাইরের নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করা যাবে না এবং তাদের প্রতি অমানবিক আচরণ নিষিদ্ধ। কোনো ধরনের সহিংসতা, অত্যাচার বা হত্যাযজ্ঞ থেকে তাদের রক্ষা করা হবে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন সুরক্ষা বিধান রয়েছে, যেমন তাদেরকে আবাসস্থলে নিরাপদ রাখা এবং তাদের সম্পত্তি রক্ষা করা।
ইসরায়েলের বাহিনী শুরু থেকে নারী-শিশু থেকে শুরু করে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করে আসছে। যা সুস্পষ্ট যুদ্ধনীতির লংঙ্ঘন।



Topics:



বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন, পত্রিকায় যেভাবে এসেছে
২ ডিসেম্বর ২০২৫

বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন, পত্রিকায় যেভাবে এসেছে

যুবদল নেতা হত্যার ঘটনাকে ভারতীয় মিডিয়ায় হাসিনার রায় পরবর্তী সহিংসতা হিসেবে প্রচার
১৮ নভেম্বর ২০২৫

যুবদল নেতা হত্যার ঘটনাকে ভারতীয় মিডিয়ায় হাসিনার রায় পরবর্তী সহিংসতা হিসেবে প্রচার

Indian media frames the murder of a Jubo Dal leader as post-verdict violence following Hasina’s sentencing
১৮ নভেম্বর ২০২৫

Indian media frames the murder of a Jubo Dal leader as post-verdict violence following Hasina’s sentencing

ইন্টারনেটে আগুন সন্ত্রাসের নির্দেশনা ও উষ্কানি দিচ্ছে আওয়ামী লীগের এক্টিভিস্টরা
১২ নভেম্বর ২০২৫

ইন্টারনেটে আগুন সন্ত্রাসের নির্দেশনা ও উষ্কানি দিচ্ছে আওয়ামী লীগের এক্টিভিস্টরা

AI-Generated Online Content
Targeting Political Parties, Government, and Security Forces
২৮ অক্টোবর ২০২৫

AI-Generated Online Content

Targeting Political Parties, Government, and Security Forces

আপনার মতামত দিন

এই পোস্টটি কি আপনার জন্য সহায়ক ছিল?

এখনো কেউ ভোট দেয়নি। আপনিই প্রথম হোন!

0%

0%

আপনার মতামত শেয়ার করুন:

| মন্তব্য সমূহ:

এখনও কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্যটি করুন!



ইসরায়েলী গণহত্যার শিকার সাংবাদিকরাও

বিশ্লেষণ

ইসরায়েলী গণহত্যার শিকার সাংবাদিকরাও

৯ এপ্রিল ২০২৫

ইসরায়েলী গণহত্যার শিকার সাংবাদিকরাও

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় অভিযান শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়ে আসছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ওয়াটসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, হামাস–ইসরায়েল সংঘাতের পর দখলদার ইসরায়েলের হামলায় ২৩২ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। অর্থাৎ, প্রতি মাসে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আইডিএফ গড়ে ১৩ জন করে সাংবাদিককে হত্যা করেছে। প্রতিবেদনটি চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ১ তারিখে প্রকাশ হয়। ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ‘কস্ট অব ওয়ার’ প্রকল্পের এ গবেষণার শিরোনাম ছিল- News Graveyards: How Dangers to War Reporters Endanger the World.

কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার তথ্যমতে, ওয়াটসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের প্রতিবেদন প্রকাশের এক সপ্তাহের মধ্যেই ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় আরও দুই সাংবাদিক নিহত হয়েছে।
আল জাজিরা বলছে, গত ৭ এপ্রিল আল নাসের হাসপাতালের কাছে এক তাঁবুতে ইসরায়েলি বোমা হামলায় গুরুতর দগ্ধ হওয়া ‘প্যালেস্টাইন টুডে’–এর সাংবাদিক আহমেদ মানসুরও মারা যান। সংঘাতের শুরু থেকে ইসরায়েলী বাহিনীর লক্ষ্যবস্ত ছিল সাংবাদিকরা। শুধু সাংবাদিকরা নন, যুদ্ধের যে নীতিমালা আছে তার কোনটাই মানছেন না ইসরায়েল। জেনেভার চতুর্থ কনভেনশনে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার কথা বলা আছে। এতে বলা হয়েছে যে, যুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর বাইরের নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করা যাবে না এবং তাদের প্রতি অমানবিক আচরণ নিষিদ্ধ। কোনো ধরনের সহিংসতা, অত্যাচার বা হত্যাযজ্ঞ থেকে তাদের রক্ষা করা হবে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন সুরক্ষা বিধান রয়েছে, যেমন তাদেরকে আবাসস্থলে নিরাপদ রাখা এবং তাদের সম্পত্তি রক্ষা করা।
ইসরায়েলের বাহিনী শুরু থেকে নারী-শিশু থেকে শুরু করে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করে আসছে। যা সুস্পষ্ট যুদ্ধনীতির লংঙ্ঘন।