| বিশ্লেষণ

'রয়টার্স বাংলা' নামে রয়টার্সের লোগো জালিয়াতি

১৬ এপ্রিল ২০২৫



আজ ১৬ এপ্রিল (বুধবার) একটি চাকরিপ্রত্যাশীদের ফেসবুক গ্রুপে ‘সারা বাংলাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিচ্ছে রয়টার্স বাংলা’ লেখা একটি ছবি পোস্ট করা হয়। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের লোগো-এর হুবহু নকল করে তৈরি করা এই লোগো প্রথম দেখায় মনে হবে ছবিটি আন্তর্জাতিক সংস্থা রয়টার্সের বাংলা শাখার বিজ্ঞপ্তি। তবে বাস্তবে তা নয়, বরং রয়টার্স বাংলা নাম দিয়ে বাংলাদেশ থেকে আরেকটি ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে, যার সাথে মূল সংস্থা রয়টার্সের কোনো সম্পর্ক নেই।

ফেসবুকে ‘রয়টার্স বাংলা’ কীওয়ার্ড সার্চ করে একই নামে একটি ফেসবুক পেজের অস্তিত্ব (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়, যেটি গত ১৪ এপ্রিল সোমবার খোলা হয়েছে। ফেসবুক পেজটির অ্যাবাউট সেকশনে যে মোবাইল নাম্বারটি দেওয়া হয়েছে, সেটি চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেওয়া ছবিটিতেও দেখা যায়। অর্থাৎ, এই পেজটির সাথে জড়িত ব্যক্তিরাই মূলত তাদের কার্যক্রম বাড়ানোর জন্য ছবিটি চাকরি প্রত্যাশীদের গ্রুপটিতে পোস্ট করেছেন।

ফেসবুক পেজটির অ্যাবাউট সেকশনে রয়টার্স বাংলা (আর্কাইভ) নামের একটি ওয়েবসাইটও সংযুক্ত করা হয়েছে। ওয়েবসাইটের ডোমেইন সম্পর্কিত তথ্য অনলাইনে সার্চ করে দেখা যায়, ওয়েবসাইটটির ডোমেইনটি রেজিস্ট্রার করা হয়েছে গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১৮ তারিখে।

ওয়েবসাইটটিতে এর পেছনে কারা রয়েছে বা যোগাযোগ সম্পর্কিত কোনো তথ্য পাওয়া না গেলেও ওয়েবসাইটটির হোম পেজের শেষে সম্পাদক হিসেবে জয়নাল আবেদিন শিশির-এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। জয়নাল আবেদিন শিশির-এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে দাবি করেন, মূল রয়টার্সের সাথে তাদের সরাসরি সম্পর্ক না থাকলেও তিনি রয়টার্সের কাছ থেকে লোগো ব্যবহারের বিষয়ে অনুমতি নিয়েছেন এবং মাসভিত্তিক টাকা বিনিময়ের চুক্তি করা হয়েছে।

এদিকে থমসন রয়টার্সের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, থমসন রয়টার্সের লোগো ট্রেডমার্ককৃত এবং অনুমতি ব্যতিরেকে তাদের লোগো ব্যবহারের অনুমতি নেই। তবে ফেয়ার ইউজ নীতিমালার আওতায় কেউ কেউ থমসন রয়টার্সের ট্রেডমার্ক, যেমন তাদের পণ্য বা সেবার নাম, পাঠ্যরূপে উল্লেখ করতে পারেন, তবে এর জন্যও নির্দিষ্ট কিছু শর্ত মানতে হয়। এই ব্যবহারে অবশ্যই সত্যতা বজায় রাখতে হবে, কোনোভাবেই থমসন রয়টার্সকে অবমাননা করা যাবে না বা জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। থমসন রয়টার্স ও ব্যবহারকারীর মধ্যে সম্পর্ক, পণ্য কিংবা সেবার প্রেক্ষাপটে পরিষ্কার ও সঠিক ব্যাখ্যা দিতে হবে। ট্রেডমার্ক এমনভাবে ব্যবহার করা যাবে না, যাতে মনে হয় থমসন রয়টার্স সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা কার্যক্রমকে পৃষ্ঠপোষকতা, অনুমোদন বা সমর্থন দিচ্ছে।

এ বিষয়ে রয়টার্সের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন যে, এই ওয়েবসাইট সম্পর্কে তারা জানেন না।

আপনার মতামত দিন

এই পোস্টটি কি আপনার জন্য সহায়ক ছিল?

আপনার মতামত শেয়ার করুন:




বিশ্লেষণ

'রয়টার্স বাংলা' নামে রয়টার্সের লোগো জালিয়াতি

১৬ এপ্রিল ২০২৫

'রয়টার্স বাংলা' নামে রয়টার্সের লোগো জালিয়াতি

আজ ১৬ এপ্রিল (বুধবার) একটি চাকরিপ্রত্যাশীদের ফেসবুক গ্রুপে ‘সারা বাংলাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিচ্ছে রয়টার্স বাংলা’ লেখা একটি ছবি পোস্ট করা হয়। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের লোগো-এর হুবহু নকল করে তৈরি করা এই লোগো প্রথম দেখায় মনে হবে ছবিটি আন্তর্জাতিক সংস্থা রয়টার্সের বাংলা শাখার বিজ্ঞপ্তি। তবে বাস্তবে তা নয়, বরং রয়টার্স বাংলা নাম দিয়ে বাংলাদেশ থেকে আরেকটি ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে, যার সাথে মূল সংস্থা রয়টার্সের কোনো সম্পর্ক নেই।

ফেসবুকে ‘রয়টার্স বাংলা’ কীওয়ার্ড সার্চ করে একই নামে একটি ফেসবুক পেজের অস্তিত্ব (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়, যেটি গত ১৪ এপ্রিল সোমবার খোলা হয়েছে। ফেসবুক পেজটির অ্যাবাউট সেকশনে যে মোবাইল নাম্বারটি দেওয়া হয়েছে, সেটি চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেওয়া ছবিটিতেও দেখা যায়। অর্থাৎ, এই পেজটির সাথে জড়িত ব্যক্তিরাই মূলত তাদের কার্যক্রম বাড়ানোর জন্য ছবিটি চাকরি প্রত্যাশীদের গ্রুপটিতে পোস্ট করেছেন।

ফেসবুক পেজটির অ্যাবাউট সেকশনে রয়টার্স বাংলা (আর্কাইভ) নামের একটি ওয়েবসাইটও সংযুক্ত করা হয়েছে। ওয়েবসাইটের ডোমেইন সম্পর্কিত তথ্য অনলাইনে সার্চ করে দেখা যায়, ওয়েবসাইটটির ডোমেইনটি রেজিস্ট্রার করা হয়েছে গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১৮ তারিখে।

ওয়েবসাইটটিতে এর পেছনে কারা রয়েছে বা যোগাযোগ সম্পর্কিত কোনো তথ্য পাওয়া না গেলেও ওয়েবসাইটটির হোম পেজের শেষে সম্পাদক হিসেবে জয়নাল আবেদিন শিশির-এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। জয়নাল আবেদিন শিশির-এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে দাবি করেন, মূল রয়টার্সের সাথে তাদের সরাসরি সম্পর্ক না থাকলেও তিনি রয়টার্সের কাছ থেকে লোগো ব্যবহারের বিষয়ে অনুমতি নিয়েছেন এবং মাসভিত্তিক টাকা বিনিময়ের চুক্তি করা হয়েছে।

এদিকে থমসন রয়টার্সের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, থমসন রয়টার্সের লোগো ট্রেডমার্ককৃত এবং অনুমতি ব্যতিরেকে তাদের লোগো ব্যবহারের অনুমতি নেই। তবে ফেয়ার ইউজ নীতিমালার আওতায় কেউ কেউ থমসন রয়টার্সের ট্রেডমার্ক, যেমন তাদের পণ্য বা সেবার নাম, পাঠ্যরূপে উল্লেখ করতে পারেন, তবে এর জন্যও নির্দিষ্ট কিছু শর্ত মানতে হয়। এই ব্যবহারে অবশ্যই সত্যতা বজায় রাখতে হবে, কোনোভাবেই থমসন রয়টার্সকে অবমাননা করা যাবে না বা জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। থমসন রয়টার্স ও ব্যবহারকারীর মধ্যে সম্পর্ক, পণ্য কিংবা সেবার প্রেক্ষাপটে পরিষ্কার ও সঠিক ব্যাখ্যা দিতে হবে। ট্রেডমার্ক এমনভাবে ব্যবহার করা যাবে না, যাতে মনে হয় থমসন রয়টার্স সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা কার্যক্রমকে পৃষ্ঠপোষকতা, অনুমোদন বা সমর্থন দিচ্ছে।

এ বিষয়ে রয়টার্সের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন যে, এই ওয়েবসাইট সম্পর্কে তারা জানেন না।