| বিশ্লেষণ

ডিভি লটারির তালিকা থেকে বাদ পড়া নতুন নয়, ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশের নাম নেই

১১ ডিসেম্বর ২০২৫


ডিভি লটারির তালিকা থেকে বাদ পড়া নতুন নয়, ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশের নাম নেই

২০২৬ সালের ডিভি লটারির তালিকাতে বাংলাদেশের নাম না থাকাকে বাংলাদেশের ‘দুঃসংবাদ’ বলে ১৯ অক্সটোবর ২০২৫ তারিখে খবর প্রকাশ করেছে দৈনিক পত্রিকা জনকণ্ঠ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়ার দেশগুলোর তালিকা থেকে বাংলাদেশকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশি নাগরিকরা এবার ডিভি লটারির জন্য আবেদন করতে পারবেন না।’ একই ধরনের তথ্য দিয়ে বিভিন্ন প্রপাগান্ডা পেজ থেকে ফটোকার্ডও শেয়ার করা হচ্ছে।



কিন্তু, ২০১২ সাল থেকে ডিভি লটারির তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই। ফলে, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের নাম না থাকা কোন নতুন সংবাদ বা ‘দুঃসংবাদ’ নয়, বরঞ্চ এটা বিগত ১৩ বছরের ধারাবাহিকতা। 


বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ঘোষণা অনুযায়ী, “২০০৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ৫০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি এই ভিসার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছে বলে বাংলাদেশ এই যোগ্যতা হারিয়েছে। কারণ ডিভি কর্মসূচি সেই দেশগুলোর জন্য যেসব দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের হার তুলনামূলকভাবে কম।”



ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ঘোষণা



জনকণ্ঠ পত্রিকাটির প্রতিবেদনে “বাংলাদেশের জন্য এই খবরে অনেক আগ্রহী তরুণদের স্বপ্ন স্থগিত হয়েছে” বলেও মন্তব্য করা হয়েছে। এমনভাবে প্রতিবেদন করা হয়েছে, যাতে মনে হতে পারে এটি একটি ‘নতুন’ দুঃসংবাদ।

এটিকে দুঃসংবাদ আখ্যা দিয়ে ফটোকার্ড প্রকাশ করেছে আওয়ামীলীগের প্রপাগাণ্ডা পেইজ “আজকের কণ্ঠ”। ফটোকার্ডটি শেয়ার দিয়ে রাজিক হাসান নামে একজন কলামিস্ট তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলের এক পোস্টে এই “দুঃসংবাদ”কে ড. ইউনূসের ব্যর্থতা হিসেবে বিশ্লেষণ করেন।




অথচ গত ১৩ বছরের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই ২০২৬ সালে ডিভি লটারিতে বাংলাদেশের নাম নেই। এটি বর্তমান সরকারের সাথে সম্পর্কিত কোনো বিষয় নয়। 


উল্লেখ্য, ডাইভারসিটি ভিসা (ডিভি) লটারি হলো যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একটি অভিবাসন কর্মসূচি, যার মাধ্যমে প্রতি বছর নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষকে স্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের সুযোগ দেওয়া হয়। এতে অংশ নিতে পারে এমন দেশগুলো সাধারণত সেইসব দেশ, যেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত ব্যক্তিরা ‘গ্রিন কার্ড’ পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী নাগরিকত্বের পথে এগোতে পারেন।









Topics:



বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন, পত্রিকায় যেভাবে এসেছে
২ ডিসেম্বর ২০২৫

বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন, পত্রিকায় যেভাবে এসেছে

যুবদল নেতা হত্যার ঘটনাকে ভারতীয় মিডিয়ায় হাসিনার রায় পরবর্তী সহিংসতা হিসেবে প্রচার
১৮ নভেম্বর ২০২৫

যুবদল নেতা হত্যার ঘটনাকে ভারতীয় মিডিয়ায় হাসিনার রায় পরবর্তী সহিংসতা হিসেবে প্রচার

Indian media frames the murder of a Jubo Dal leader as post-verdict violence following Hasina’s sentencing
১৮ নভেম্বর ২০২৫

Indian media frames the murder of a Jubo Dal leader as post-verdict violence following Hasina’s sentencing

ইন্টারনেটে আগুন সন্ত্রাসের নির্দেশনা ও উষ্কানি দিচ্ছে আওয়ামী লীগের এক্টিভিস্টরা
১২ নভেম্বর ২০২৫

ইন্টারনেটে আগুন সন্ত্রাসের নির্দেশনা ও উষ্কানি দিচ্ছে আওয়ামী লীগের এক্টিভিস্টরা

AI-Generated Online Content
Targeting Political Parties, Government, and Security Forces
২৮ অক্টোবর ২০২৫

AI-Generated Online Content

Targeting Political Parties, Government, and Security Forces

আপনার মতামত দিন

এই পোস্টটি কি আপনার জন্য সহায়ক ছিল?

এখনো কেউ ভোট দেয়নি। আপনিই প্রথম হোন!

0%

0%

আপনার মতামত শেয়ার করুন:

| মন্তব্য সমূহ:

এখনও কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্যটি করুন!



ডিভি লটারির তালিকা থেকে বাদ পড়া নতুন নয়, ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশের নাম নেই

বিশ্লেষণ

ডিভি লটারির তালিকা থেকে বাদ পড়া নতুন নয়, ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশের নাম নেই

১১ ডিসেম্বর ২০২৫

ডিভি লটারির তালিকা থেকে বাদ পড়া নতুন নয়, ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশের নাম নেই

২০২৬ সালের ডিভি লটারির তালিকাতে বাংলাদেশের নাম না থাকাকে বাংলাদেশের ‘দুঃসংবাদ’ বলে ১৯ অক্সটোবর ২০২৫ তারিখে খবর প্রকাশ করেছে দৈনিক পত্রিকা জনকণ্ঠ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়ার দেশগুলোর তালিকা থেকে বাংলাদেশকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশি নাগরিকরা এবার ডিভি লটারির জন্য আবেদন করতে পারবেন না।’ একই ধরনের তথ্য দিয়ে বিভিন্ন প্রপাগান্ডা পেজ থেকে ফটোকার্ডও শেয়ার করা হচ্ছে।



কিন্তু, ২০১২ সাল থেকে ডিভি লটারির তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই। ফলে, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের নাম না থাকা কোন নতুন সংবাদ বা ‘দুঃসংবাদ’ নয়, বরঞ্চ এটা বিগত ১৩ বছরের ধারাবাহিকতা। 


বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ঘোষণা অনুযায়ী, “২০০৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ৫০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি এই ভিসার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছে বলে বাংলাদেশ এই যোগ্যতা হারিয়েছে। কারণ ডিভি কর্মসূচি সেই দেশগুলোর জন্য যেসব দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের হার তুলনামূলকভাবে কম।”



ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ঘোষণা



জনকণ্ঠ পত্রিকাটির প্রতিবেদনে “বাংলাদেশের জন্য এই খবরে অনেক আগ্রহী তরুণদের স্বপ্ন স্থগিত হয়েছে” বলেও মন্তব্য করা হয়েছে। এমনভাবে প্রতিবেদন করা হয়েছে, যাতে মনে হতে পারে এটি একটি ‘নতুন’ দুঃসংবাদ।

এটিকে দুঃসংবাদ আখ্যা দিয়ে ফটোকার্ড প্রকাশ করেছে আওয়ামীলীগের প্রপাগাণ্ডা পেইজ “আজকের কণ্ঠ”। ফটোকার্ডটি শেয়ার দিয়ে রাজিক হাসান নামে একজন কলামিস্ট তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলের এক পোস্টে এই “দুঃসংবাদ”কে ড. ইউনূসের ব্যর্থতা হিসেবে বিশ্লেষণ করেন।




অথচ গত ১৩ বছরের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই ২০২৬ সালে ডিভি লটারিতে বাংলাদেশের নাম নেই। এটি বর্তমান সরকারের সাথে সম্পর্কিত কোনো বিষয় নয়। 


উল্লেখ্য, ডাইভারসিটি ভিসা (ডিভি) লটারি হলো যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একটি অভিবাসন কর্মসূচি, যার মাধ্যমে প্রতি বছর নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষকে স্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের সুযোগ দেওয়া হয়। এতে অংশ নিতে পারে এমন দেশগুলো সাধারণত সেইসব দেশ, যেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত ব্যক্তিরা ‘গ্রিন কার্ড’ পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী নাগরিকত্বের পথে এগোতে পারেন।