| মিডিয়া লিটারেসি | মিডিয়া লিটারেসি
বিজ্ঞাপন : Brand, আবেগ ও ভোক্তার মানসিকতা
২৬ অক্টোবর ২০২৫
বিজ্ঞাপন শুধু পণ্যের প্রচার নয়, এটি একটি কৌশলগত মাধ্যম যার মাধ্যমে ব্র্যান্ড মানুষের মনে জায়গা করে নেয়। টিভি কমার্শিয়াল, বিলবোর্ড, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাড—সবই আমাদের আচরণ ও সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে।
১. ব্র্যান্ড গড়ার কৌশল
বিজ্ঞাপন শুধু
পণ্য বিক্রি করে না, বরং ব্র্যান্ডকে একটি পরিচয়ে রূপ দেয়।
👉 উদাহরণ: বাংলাদেশের টেলিকম কোম্পানিগুলো তাদের বিজ্ঞাপনে
শুধু অফার দেখায় না, বরং “যুবশক্তি”, “স্বপ্ন” বা “কানেকশন” এর মতো ধারণা তুলে ধরে।
২. আবেগের ব্যবহার
সফল বিজ্ঞাপন
সবসময় আবেগ স্পর্শ করে। হাসি, কান্না, নস্টালজিয়া বা গর্ব—এসব আবেগ ব্যবহার করে ব্র্যান্ড
মানুষের মনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে।
👉 উদাহরণ: স্বাধীনতা দিবস বা বিজয় দিবসে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনগুলোতে
দেশপ্রেমের আবেগ ব্যবহার হয়।
৩. ভোক্তার আচরণ প্রভাবিত করা
বিজ্ঞাপনের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের কেনার সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করা। আজকের দিনে টিভি ছাড়াও ফেসবুক ও ইউটিউবের টার্গেটেড অ্যাড আমাদের অভ্যাস বিশ্লেষণ করে ঠিক করে কোন বিজ্ঞাপন আমাদের সামনে আসবে।
৪. বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশে FMCG (দ্রুত বিক্রিত পণ্য), টেলিকম, পোশাক ও ব্যাংকিং খাতে বিজ্ঞাপন সবচেয়ে শক্তিশালী। তবে, অনেক সময় বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনও বাজারে আসে যা ভোক্তাদের ভুল পথে পরিচালিত করে।
বিজ্ঞাপন কেবল বাণিজ্য নয়, এটি সংস্কৃতি ও সমাজের অংশ। তাই আমাদের দরকার বিজ্ঞাপন লিটারেসি—যাতে আমরা বুঝতে পারি কিভাবে বিজ্ঞাপন আমাদের আবেগকে কাজে লাগাচ্ছে।
Topics:
ভবিষ্যতের দায়িত্বশীল ব্যবহার: কেবল ভোক্তা নয়, বরং কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবেও নৈতিকভাবে মিডিয়া ব্যবহার করা
সমসাময়িক ইস্যু বিশ্লেষণ: ভুয়া খবর, প্রাইভেসি লঙ্ঘন, মিডিয়া ভায়োলেন্স ও খেলাধুলার কাভারেজ—নৈতিক ও সামাজিক প্রভাব
নিজেকে ও অন্যকে মিডিয়া লিটারেট করা: বিশ্লেষণ, প্রশ্ন, তুলনা ও সমালোচনামূলক চিন্তার অনুশীলন
ডিজিটাল এক্সপেরিয়েন্স: অনলাইন ভিডিও, মিউজিক, শপিং ও পাইরেসি—ভোক্তার আচরণ ও শিল্পের পরিবর্তন
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং — ইকো-চেম্বার, ভুয়া প্রোফাইল, প্যারাসোশাল সম্পর্ক ও ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ারের ঝুঁকি
আপনার মতামত দিন
এই পোস্টটি কি আপনার জন্য সহায়ক ছিল?
এখনো কেউ ভোট দেয়নি। আপনিই প্রথম হোন!
0%
0%
আপনার মতামত শেয়ার করুন:
| মন্তব্য সমূহ:
এখনও কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্যটি করুন!
| আরও পড়ুন
গেমস ও প্রতিযোগিতা | গেম আসক্তি, ই-স্পোর্টস ও মিডিয়া প্রভাব
ডিজিটাল এক্সপেরিয়েন্স: অনলাইন ভিডিও, মিউজিক, শপিং ও পাইরেসি—ভোক্তার আচরণ ও শিল্পের পরিবর্তন
নিজেকে ও অন্যকে মিডিয়া লিটারেট করা: বিশ্লেষণ, প্রশ্ন, তুলনা ও সমালোচনামূলক চিন্তার অনুশীলন
ভবিষ্যতের দায়িত্বশীল ব্যবহার: কেবল ভোক্তা নয়, বরং কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবেও নৈতিকভাবে মিডিয়া ব্যবহার করা
মিডিয়া লিটারেসি
বিজ্ঞাপন : Brand, আবেগ ও ভোক্তার মানসিকতা
২৬ অক্টোবর ২০২৫
বিজ্ঞাপন শুধু পণ্যের প্রচার নয়, এটি একটি কৌশলগত মাধ্যম যার মাধ্যমে ব্র্যান্ড মানুষের মনে জায়গা করে নেয়। টিভি কমার্শিয়াল, বিলবোর্ড, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাড—সবই আমাদের আচরণ ও সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে।
১. ব্র্যান্ড গড়ার কৌশল
বিজ্ঞাপন শুধু
পণ্য বিক্রি করে না, বরং ব্র্যান্ডকে একটি পরিচয়ে রূপ দেয়।
👉 উদাহরণ: বাংলাদেশের টেলিকম কোম্পানিগুলো তাদের বিজ্ঞাপনে
শুধু অফার দেখায় না, বরং “যুবশক্তি”, “স্বপ্ন” বা “কানেকশন” এর মতো ধারণা তুলে ধরে।
২. আবেগের ব্যবহার
সফল বিজ্ঞাপন
সবসময় আবেগ স্পর্শ করে। হাসি, কান্না, নস্টালজিয়া বা গর্ব—এসব আবেগ ব্যবহার করে ব্র্যান্ড
মানুষের মনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে।
👉 উদাহরণ: স্বাধীনতা দিবস বা বিজয় দিবসে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনগুলোতে
দেশপ্রেমের আবেগ ব্যবহার হয়।
৩. ভোক্তার আচরণ প্রভাবিত করা
বিজ্ঞাপনের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের কেনার সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করা। আজকের দিনে টিভি ছাড়াও ফেসবুক ও ইউটিউবের টার্গেটেড অ্যাড আমাদের অভ্যাস বিশ্লেষণ করে ঠিক করে কোন বিজ্ঞাপন আমাদের সামনে আসবে।
৪. বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশে FMCG (দ্রুত বিক্রিত পণ্য), টেলিকম, পোশাক ও ব্যাংকিং খাতে বিজ্ঞাপন সবচেয়ে শক্তিশালী। তবে, অনেক সময় বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনও বাজারে আসে যা ভোক্তাদের ভুল পথে পরিচালিত করে।
বিজ্ঞাপন কেবল বাণিজ্য নয়, এটি সংস্কৃতি ও সমাজের অংশ। তাই আমাদের দরকার বিজ্ঞাপন লিটারেসি—যাতে আমরা বুঝতে পারি কিভাবে বিজ্ঞাপন আমাদের আবেগকে কাজে লাগাচ্ছে।