| বিশ্লেষণ
ওসমান হাদির ঘটনায় ভারতীয় মিডিয়ায় আবারও “গ্রেটার বাংলাদেশ” অপপ্রচার
১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ভারতীয় মিডিয়ায় বারবার এমন একটি অপপ্রচার চালানো হয়েছে যে, বাংলাদেশে ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’-এর মানচিত্র প্রচার করা হচ্ছে। গত ১২ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরও ভারতীয় কিছু গণমাধ্যমে ‘ওসমান হাদি গ্রেটার বাংলাদেশের মানচিত্র প্রচার করেছেন’, এমন দাবি করে সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
অপ ইন্ডিয়া নামক ভারতীয় মিডিয়ায় “গ্রেটার বাংলাদেশ-এর মানচিত্র পোস্টের কয়েক ঘণ্টা পর ঢাকায় ইসলামপন্থী ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এতে ওসমান হাদিকে “চরমপন্থী ইসলামিস্ট” হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। ইন্ডিয়া টুডে’র সংবাদেও ওসমান হাদি গ্রেটার বাংলাদেশের মানচিত্র প্রচার করেছেন বলা হয়। ভাস্কর ইংলিশ নামক আরেকটি মিডিয়ায় “‘সেভেন সিস্টার্স’-এর বিতর্কিত মানচিত্র পোস্ট করা বাংলাদেশি ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ” শিরোনামে সংবাদ পরিবেশন করা হয়। উল্লেখ্য, ভাস্কর ইংলিশের সংবাদে বাংলাদেশের একটি মানচিত্র ব্যবহার করা হয়, যা বিকৃত।
এসব সংবাদে ওসমান হাদির যে পোস্টের কথা উল্লেখ রয়েছে, তা ছিল ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের আয়োজনে “বাঙ্গালাহ ও বাঙ্গালীর শুরুর গল্প” নামক আলোচনা অনুষ্ঠানের একটি পোস্টার। আলোচনার বিষয়বস্তুর সাথে প্রাসঙ্গিক হওয়ায় পোস্টারে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মানচিত্রের ছবি রাখা হয়েছিল। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের মানচিত্র দেশগুলোর পতাকার রঙে আলাদা আলাদাভাবে নির্দেশ করা হয়েছে। বাংলাদেশের মানচিত্র গাঢ় সবুজ রঙে স্পষ্টত আলাদা করা হয়েছে। ফলে, ওসমান হাদি এই পোস্টারে গ্রেটার বাংলাদেশ প্রচার করা হয়েছে, এমন দাবির কোনো ভিত্তি নেই।
এখানে উল্লেখ্য যে, এর আগেও কখনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনের প্রদর্শনীতে দেখানো ঐতিহাসিক মানচিত্রকে, আবার কখনো গ্রাফিতির বইয়ের প্রচ্ছদকে "গ্রেটার বাংলাদেশ"-এর ম্যাপ বলে প্রচার করেছে ভারতীয় মিডিয়া। রাজ্যসভায় পর্যন্ত এটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাফ্যাক্ট এসব ভারতীয় প্রচারণাকে মিথ্যা প্রমাণ করেছে। বিস্তারিত দেখুন এখানে, এখানে, ও এখানে।
Topics:
ভারতীয় গণমাধ্যম গ্রেটার বাংলাদেশ
বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন, পত্রিকায় যেভাবে এসেছে
যুবদল নেতা হত্যার ঘটনাকে ভারতীয় মিডিয়ায় হাসিনার রায় পরবর্তী সহিংসতা হিসেবে প্রচার
Indian media frames the murder of a Jubo Dal leader as post-verdict violence following Hasina’s sentencing
ইন্টারনেটে আগুন সন্ত্রাসের নির্দেশনা ও উষ্কানি দিচ্ছে আওয়ামী লীগের এক্টিভিস্টরা
AI-Generated Online Content
Targeting Political Parties, Government, and Security Forces
আপনার মতামত দিন
এই পোস্টটি কি আপনার জন্য সহায়ক ছিল?
এখনো কেউ ভোট দেয়নি। আপনিই প্রথম হোন!
0%
0%
আপনার মতামত শেয়ার করুন:
| মন্তব্য সমূহ:
এখনও কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্যটি করুন!
| আরও পড়ুন
বিশ্লেষণ
ওসমান হাদির ঘটনায় ভারতীয় মিডিয়ায় আবারও “গ্রেটার বাংলাদেশ” অপপ্রচার
১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ভারতীয় মিডিয়ায় বারবার এমন একটি অপপ্রচার চালানো হয়েছে যে, বাংলাদেশে ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’-এর মানচিত্র প্রচার করা হচ্ছে। গত ১২ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরও ভারতীয় কিছু গণমাধ্যমে ‘ওসমান হাদি গ্রেটার বাংলাদেশের মানচিত্র প্রচার করেছেন’, এমন দাবি করে সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
অপ ইন্ডিয়া নামক ভারতীয় মিডিয়ায় “গ্রেটার বাংলাদেশ-এর মানচিত্র পোস্টের কয়েক ঘণ্টা পর ঢাকায় ইসলামপন্থী ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এতে ওসমান হাদিকে “চরমপন্থী ইসলামিস্ট” হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। ইন্ডিয়া টুডে’র সংবাদেও ওসমান হাদি গ্রেটার বাংলাদেশের মানচিত্র প্রচার করেছেন বলা হয়। ভাস্কর ইংলিশ নামক আরেকটি মিডিয়ায় “‘সেভেন সিস্টার্স’-এর বিতর্কিত মানচিত্র পোস্ট করা বাংলাদেশি ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ” শিরোনামে সংবাদ পরিবেশন করা হয়। উল্লেখ্য, ভাস্কর ইংলিশের সংবাদে বাংলাদেশের একটি মানচিত্র ব্যবহার করা হয়, যা বিকৃত।
এসব সংবাদে ওসমান হাদির যে পোস্টের কথা উল্লেখ রয়েছে, তা ছিল ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের আয়োজনে “বাঙ্গালাহ ও বাঙ্গালীর শুরুর গল্প” নামক আলোচনা অনুষ্ঠানের একটি পোস্টার। আলোচনার বিষয়বস্তুর সাথে প্রাসঙ্গিক হওয়ায় পোস্টারে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মানচিত্রের ছবি রাখা হয়েছিল। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের মানচিত্র দেশগুলোর পতাকার রঙে আলাদা আলাদাভাবে নির্দেশ করা হয়েছে। বাংলাদেশের মানচিত্র গাঢ় সবুজ রঙে স্পষ্টত আলাদা করা হয়েছে। ফলে, ওসমান হাদি এই পোস্টারে গ্রেটার বাংলাদেশ প্রচার করা হয়েছে, এমন দাবির কোনো ভিত্তি নেই।
এখানে উল্লেখ্য যে, এর আগেও কখনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনের প্রদর্শনীতে দেখানো ঐতিহাসিক মানচিত্রকে, আবার কখনো গ্রাফিতির বইয়ের প্রচ্ছদকে "গ্রেটার বাংলাদেশ"-এর ম্যাপ বলে প্রচার করেছে ভারতীয় মিডিয়া। রাজ্যসভায় পর্যন্ত এটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাফ্যাক্ট এসব ভারতীয় প্রচারণাকে মিথ্যা প্রমাণ করেছে। বিস্তারিত দেখুন এখানে, এখানে, ও এখানে।