| ফ্যাক্ট চেক

ঢাকায় পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের নয়, এটি ঢাকাস্থ পাকিস্তানিদের সমাবেশের পুরোনো ভিডিও

১৭ আগস্ট ২০২৫


মিথ্যা

ঢাকায় গত ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস পালনের দৃশ্য বলে দাবি করা একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, কিছু যুবক বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পতাকা পাশাপাশি রেখে উর্দু ভাষায় ‘তেরা মেরা রেস্তা কেয়া, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলে স্লোগান দিচ্ছে।

বাংলাফ্যাক্ট যাচাই করে দেখেছে, ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি বাংলাদেশে পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস পালনের দৃশ্য নয়। প্রকৃতপক্ষে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে গত এপ্রিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। সেই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাংলাদেশে বসবাসরত পাকিস্তানি শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন। এটি সেই ঘটনার দৃশ্য।

আলোচিত ভিডিওটি থেকে কিছু স্থিরচিত্র নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান বাংলা এডিশনের ফেসবুক পেজে গত ৮ এপ্রিল প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে একই দৃশ্য পাওয়া যায়। এ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে এপ্রিলে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। সেই সময় টিএসসিতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে বিক্ষোভ করেন।

এসব তথ্যসূত্রে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে দৈনিক আজকের পত্রিকার ওয়েবসাইটে ৭ এপ্রিল প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, সেদিন ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ও ‘ওয়ার্ল্ড স্ট্রাইক ফর গাজা’ কর্মসূচির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি এ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে জড়ো হন।

অর্থাৎ, ভিন্ন ঘটনার পুরোনো ভিডিওকে গত ১৪ আগস্ট ঢাকায় পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস পালনের দৃশ্য দাবি করে ইন্টারনেটে ছড়ানো হচ্ছে; যা মিথ্যা।


তথ্যসূত্র: এখানে, এখানে

আপনার মতামত দিন

এই পোস্টটি কি আপনার জন্য সহায়ক ছিল?

আপনার মতামত শেয়ার করুন:




ফ্যাক্ট চেক

ঢাকায় পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের নয়, এটি ঢাকাস্থ পাকিস্তানিদের সমাবেশের পুরোনো ভিডিও

১৭ আগস্ট ২০২৫

ঢাকায় পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের নয়, এটি ঢাকাস্থ পাকিস্তানিদের সমাবেশের পুরোনো ভিডিও

ঢাকায় গত ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস পালনের দৃশ্য বলে দাবি করা একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, কিছু যুবক বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পতাকা পাশাপাশি রেখে উর্দু ভাষায় ‘তেরা মেরা রেস্তা কেয়া, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলে স্লোগান দিচ্ছে।

বাংলাফ্যাক্ট যাচাই করে দেখেছে, ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি বাংলাদেশে পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস পালনের দৃশ্য নয়। প্রকৃতপক্ষে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে গত এপ্রিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। সেই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাংলাদেশে বসবাসরত পাকিস্তানি শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন। এটি সেই ঘটনার দৃশ্য।

আলোচিত ভিডিওটি থেকে কিছু স্থিরচিত্র নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান বাংলা এডিশনের ফেসবুক পেজে গত ৮ এপ্রিল প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে একই দৃশ্য পাওয়া যায়। এ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে এপ্রিলে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। সেই সময় টিএসসিতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে বিক্ষোভ করেন।

এসব তথ্যসূত্রে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে দৈনিক আজকের পত্রিকার ওয়েবসাইটে ৭ এপ্রিল প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, সেদিন ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ও ‘ওয়ার্ল্ড স্ট্রাইক ফর গাজা’ কর্মসূচির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি এ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে জড়ো হন।

অর্থাৎ, ভিন্ন ঘটনার পুরোনো ভিডিওকে গত ১৪ আগস্ট ঢাকায় পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস পালনের দৃশ্য দাবি করে ইন্টারনেটে ছড়ানো হচ্ছে; যা মিথ্যা।


তথ্যসূত্র: এখানে, এখানে