| ফ্যাক্ট চেক | রাজনীতি

সাদিক কায়েমের সঙ্গে হাদির ওপর সন্দেহভাজন হামলাকারীর ছবিটি এআই-সৃষ্ট

১৬ ডিসেম্বর ২০২৫


সাদিক কায়েমের সঙ্গে হাদির ওপর সন্দেহভাজন হামলাকারীর ছবিটি এআই-সৃষ্ট
মিথ্যা

ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি রাজধানীর পল্টনের বিজয়নগর এলাকায় গতকাল শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এরই মধ্যে এই ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ফেসবুক পেজ থেকে আজ (১৩ ডিসেম্বর) একটি পোস্টে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তির ছবি প্রকাশ করে তার তথ্য প্রদানের অনুরোধ জানায়। 


এরই প্রেক্ষিতে, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েমের কাছের ব্যক্তি দাবি করে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়াচ্ছে।


এমন দাবি করে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান বাংলাভিশনের ডেপুটি নিউজ এডিটর মোস্তফা কামাল তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেছেন। পোস্টের শুরুতে তিনি ক্যাপশনে লেখেন, ‘ওই ছেলেই এই ছেলে? কার কাছে কে ঘেঁষে, কে ফাঁসে? কে কাশে?’ পরবর্তীতে সম্পাদনা করে লেখেন, ‘ওই ছেলেই এই ছেলে? কার কাছে কে ঘেঁষে, কে ফাঁসে? কে কাশে? আড়ালে কে হাসে? ছবিটা রিয়েল না এআই দিয়ে তৈরি?’


তবে বাংলাফ্যাক্ট যাচাই করে দেখেছে, দাবিটি সঠিক নয়। আসলে এই ছবিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরি।


অনুসন্ধানে গণমাধ্যম কিংবা নির্ভরযোগ্য কোন সূত্রে দুজনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।


পরবর্তীতে, আলোচিত ছবিটি পর্যবেক্ষণ করে এতে একাধিক অসঙ্গতি পাওয়া যায়। বিষয়টি নিশ্চিত হতে এআই কনটেন্ট শনাক্তকরণ টুল হাইভ মডেরেশনে ছবিটি পরীক্ষা করলে এটি এআই-সৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা ৮৮.৩ শতাংশ বলে জানানো হয়।


অর্থাৎ, আলোচিত দাবিটি মিথ্যা এবং ছবিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরি। 





Topics:



হাসিনা-পুতিনের বৈঠকের ভিডিওটি ২০১৩ সালের
মিথ্যা
৭ ডিসেম্বর ২০২৫

হাসিনা-পুতিনের বৈঠকের ভিডিওটি ২০১৩ সালের

ফটোকার্ড নকল করে ঢাকায় নিযুক্ত বর্তমান জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লটজের নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার
৩০ নভেম্বর ২০২৫

ফটোকার্ড নকল করে ঢাকায় নিযুক্ত বর্তমান জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লটজের নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার

এনসিপি নেত্রী মাহমুদা মিতুকে জড়িয়ে কালের কণ্ঠের নামে ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার
২৮ নভেম্বর ২০২৫

এনসিপি নেত্রী মাহমুদা মিতুকে জড়িয়ে কালের কণ্ঠের নামে ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার

একাত্তর টিভির ফটোকার্ড নকল করে 
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার
মিথ্যা
২৪ নভেম্বর ২০২৫

একাত্তর টিভির ফটোকার্ড নকল করে 

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার

বাংলাদেশের ভূমিকম্পের ঘটনায় পুরোনো ও এআই-সৃষ্ট দৃশ্যের প্রচার
বিভ্রান্তিকর
২৩ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের ভূমিকম্পের ঘটনায় পুরোনো ও এআই-সৃষ্ট দৃশ্যের প্রচার

আপনার মতামত দিন

এই পোস্টটি কি আপনার জন্য সহায়ক ছিল?

এখনো কেউ ভোট দেয়নি। আপনিই প্রথম হোন!

0%

0%

আপনার মতামত শেয়ার করুন:

| মন্তব্য সমূহ:

এখনও কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্যটি করুন!



সাদিক কায়েমের সঙ্গে হাদির ওপর সন্দেহভাজন হামলাকারীর ছবিটি এআই-সৃষ্ট

ফ্যাক্ট চেক

সাদিক কায়েমের সঙ্গে হাদির ওপর সন্দেহভাজন হামলাকারীর ছবিটি এআই-সৃষ্ট

১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

<p><span style="font-size: 24px; font-weight: bold;">সাদিক কায়েমের সঙ্গে হাদির ওপর সন্দেহভাজন হামলাকারীর ছবিটি এআই-সৃষ্ট</span><br /></p>

ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি রাজধানীর পল্টনের বিজয়নগর এলাকায় গতকাল শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এরই মধ্যে এই ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ফেসবুক পেজ থেকে আজ (১৩ ডিসেম্বর) একটি পোস্টে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তির ছবি প্রকাশ করে তার তথ্য প্রদানের অনুরোধ জানায়। 


এরই প্রেক্ষিতে, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েমের কাছের ব্যক্তি দাবি করে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়াচ্ছে।


এমন দাবি করে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান বাংলাভিশনের ডেপুটি নিউজ এডিটর মোস্তফা কামাল তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেছেন। পোস্টের শুরুতে তিনি ক্যাপশনে লেখেন, ‘ওই ছেলেই এই ছেলে? কার কাছে কে ঘেঁষে, কে ফাঁসে? কে কাশে?’ পরবর্তীতে সম্পাদনা করে লেখেন, ‘ওই ছেলেই এই ছেলে? কার কাছে কে ঘেঁষে, কে ফাঁসে? কে কাশে? আড়ালে কে হাসে? ছবিটা রিয়েল না এআই দিয়ে তৈরি?’


তবে বাংলাফ্যাক্ট যাচাই করে দেখেছে, দাবিটি সঠিক নয়। আসলে এই ছবিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরি।


অনুসন্ধানে গণমাধ্যম কিংবা নির্ভরযোগ্য কোন সূত্রে দুজনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।


পরবর্তীতে, আলোচিত ছবিটি পর্যবেক্ষণ করে এতে একাধিক অসঙ্গতি পাওয়া যায়। বিষয়টি নিশ্চিত হতে এআই কনটেন্ট শনাক্তকরণ টুল হাইভ মডেরেশনে ছবিটি পরীক্ষা করলে এটি এআই-সৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা ৮৮.৩ শতাংশ বলে জানানো হয়।


অর্থাৎ, আলোচিত দাবিটি মিথ্যা এবং ছবিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরি।