| ফ্যাক্ট চেক | রাজনীতি

অধ্যাপক আসিফ নজরুলের পৈতৃক বাড়িতে দুর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগের দাবিটি মিথ্যা, ছড়ানো ভিডিওটি পুরোনো

১৯ আগস্ট ২০২৫


অধ্যাপক আসিফ নজরুলের পৈতৃক বাড়িতে দুর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগের দাবিটি মিথ্যা, ছড়ানো ভিডিওটি পুরোনো
মিথ্যা

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের পৈতৃক বাড়িতে দুর্বৃত্তরা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বলে দাবি করা একটি ভিডিও সম্প্রতি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে।

বাংলাফ্যাক্ট যাচাই করে দেখেছে, আসিফ নজরুলের পৈতৃক বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করার দাবিটি সত্য নয়। প্রকৃতপক্ষে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক এম বাহাউদ্দিন বাহারের বাড়িতে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এটি সেই ঘটনার দৃশ্য।

আলোচিত ভিডিওটি থেকে কিছু স্থিরচিত্র নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান জাগোনিউজ টুয়েন্টিফোরের ইউটিউব চ্যানেলে ৬ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে একই দৃশ্য পাওয়া যায়। এ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেদিন কুমিল্লা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের বাড়িতে ছাত্র-জনতা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।

দ্য ডেইলি স্টার, দেশ টিভি, দৈনিক ইত্তেফাকসহ একাধিক গণমাধ্যমে ৬ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়।

তাছাড়া, গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো বিশ্বস্ত সূত্রে উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের পৈতৃক বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের দাবির কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।

অর্থাৎ, ভিন্ন ঘটনার পুরোনো ভিডিওকে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের পৈতৃক বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের দৃশ্য দাবি করে ইন্টারনেটে ছড়ানো হচ্ছে; যা মিথ্যা।


তথ্যসূত্র: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে




Topics:



হাসিনা-পুতিনের বৈঠকের ভিডিওটি ২০১৩ সালের
মিথ্যা
৭ ডিসেম্বর ২০২৫

হাসিনা-পুতিনের বৈঠকের ভিডিওটি ২০১৩ সালের

ফটোকার্ড নকল করে ঢাকায় নিযুক্ত বর্তমান জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লটজের নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার
৩০ নভেম্বর ২০২৫

ফটোকার্ড নকল করে ঢাকায় নিযুক্ত বর্তমান জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লটজের নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার

এনসিপি নেত্রী মাহমুদা মিতুকে জড়িয়ে কালের কণ্ঠের নামে ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার
২৮ নভেম্বর ২০২৫

এনসিপি নেত্রী মাহমুদা মিতুকে জড়িয়ে কালের কণ্ঠের নামে ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার

একাত্তর টিভির ফটোকার্ড নকল করে 
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার
মিথ্যা
২৪ নভেম্বর ২০২৫

একাত্তর টিভির ফটোকার্ড নকল করে 

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার

বাংলাদেশের ভূমিকম্পের ঘটনায় পুরোনো ও এআই-সৃষ্ট দৃশ্যের প্রচার
বিভ্রান্তিকর
২৩ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের ভূমিকম্পের ঘটনায় পুরোনো ও এআই-সৃষ্ট দৃশ্যের প্রচার

আপনার মতামত দিন

এই পোস্টটি কি আপনার জন্য সহায়ক ছিল?

এখনো কেউ ভোট দেয়নি। আপনিই প্রথম হোন!

0%

0%

আপনার মতামত শেয়ার করুন:

| মন্তব্য সমূহ:

এখনও কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্যটি করুন!



অধ্যাপক আসিফ নজরুলের পৈতৃক বাড়িতে দুর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগের দাবিটি মিথ্যা, ছড়ানো ভিডিওটি পুরোনো

ফ্যাক্ট চেক

অধ্যাপক আসিফ নজরুলের পৈতৃক বাড়িতে দুর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগের দাবিটি মিথ্যা, ছড়ানো ভিডিওটি পুরোনো

১৯ আগস্ট ২০২৫

অধ্যাপক আসিফ নজরুলের পৈতৃক বাড়িতে দুর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগের দাবিটি মিথ্যা, ছড়ানো ভিডিওটি পুরোনো

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের পৈতৃক বাড়িতে দুর্বৃত্তরা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বলে দাবি করা একটি ভিডিও সম্প্রতি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে।

বাংলাফ্যাক্ট যাচাই করে দেখেছে, আসিফ নজরুলের পৈতৃক বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করার দাবিটি সত্য নয়। প্রকৃতপক্ষে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক এম বাহাউদ্দিন বাহারের বাড়িতে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এটি সেই ঘটনার দৃশ্য।

আলোচিত ভিডিওটি থেকে কিছু স্থিরচিত্র নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান জাগোনিউজ টুয়েন্টিফোরের ইউটিউব চ্যানেলে ৬ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে একই দৃশ্য পাওয়া যায়। এ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেদিন কুমিল্লা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের বাড়িতে ছাত্র-জনতা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।

দ্য ডেইলি স্টার, দেশ টিভি, দৈনিক ইত্তেফাকসহ একাধিক গণমাধ্যমে ৬ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়।

তাছাড়া, গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো বিশ্বস্ত সূত্রে উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের পৈতৃক বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের দাবির কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।

অর্থাৎ, ভিন্ন ঘটনার পুরোনো ভিডিওকে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের পৈতৃক বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের দৃশ্য দাবি করে ইন্টারনেটে ছড়ানো হচ্ছে; যা মিথ্যা।


তথ্যসূত্র: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে