| বিশ্লেষণ

যৌথ মহড়া নিয়ে চন্দন নন্দীর অপপ্রচার

২৩ জুন ২০২৫


যৌথ মহড়া নিয়ে চন্দন নন্দীর অপপ্রচার

বাংলাদেশের সেনাবাহিনী, করিডর ইত্যাদি নিয়ে নিয়মিত গুজব ছড়ানো চন্দন নন্দী নামক সাংবাদিক ভারতের ‘নর্থ ইস্ট নিউজ’-এ একটি ‘রিপোর্ট’ প্রকাশ করেছেন। এতে তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের যৌথ মহড়া ‘প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল-২৫’ ও ‘টাইগার লাইটনিং-২০২৫’–কে ঘিরে এমনভাবে তথ্য সাজিয়েছেন, যেন বাংলাদেশে কোনো অস্বাভাবিক সামরিক তৎপরতা চলছে এবং তা ঘিরে নিরাপত্তা মহলে “আতঙ্ক ও বিস্ময়” ছড়িয়েছে।

অথচ বাস্তবতা হলো—এই মহড়াগুলো নতুন নয়, বাংলাদেশে এর আগেও বহুবার হয়েছে। যেমন, ২০২৪ এর ২১ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ‘টাইগার লাইটনিং-২০২৪’ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২০১৯ সালে লালমনিরহাটে ‘প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল-২০১৯’ অনুষ্ঠিত হয়। ফলে চন্দন নন্দী যেমন মহড়াগুলোকে আতঙ্ক ও বিস্ময়ের হিসেবে দেখাতে চাচ্ছেন এবং তার সাথে কথিত 'মানবিক করিডর' প্রসঙ্গ জুড়ে দিচ্ছেন, তার কোনো বাস্তবতা নেই।

আরো উল্লেখ্য হলো, এ ধরণের মহড়া ভারতেও নিয়মিত হয়ে থাকে। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে অন্ধ্র প্রদেশে ‘টাইগার ট্রায়াম্ফ’ মহড়া আয়োজন করেছিল। কিন্ত ভারতীয় মিডিয়া নিজ দেশে এসব মহড়াকে স্বাভাবিকভাবেই নেয়। শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত মহড়াগুলো নিয়েও ভারতীয় গণমাধ্যম কখনও কোনো সন্দেহ বা নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেনি। কিন্তু ৫ আগস্টের পর থেকে ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চালানো অপতথ্যের ব্যাপক ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে চন্দন নন্দী ক্রমাগত বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বয়ান তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।



Topics:



বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন, পত্রিকায় যেভাবে এসেছে
২ ডিসেম্বর ২০২৫

বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন, পত্রিকায় যেভাবে এসেছে

যুবদল নেতা হত্যার ঘটনাকে ভারতীয় মিডিয়ায় হাসিনার রায় পরবর্তী সহিংসতা হিসেবে প্রচার
১৮ নভেম্বর ২০২৫

যুবদল নেতা হত্যার ঘটনাকে ভারতীয় মিডিয়ায় হাসিনার রায় পরবর্তী সহিংসতা হিসেবে প্রচার

Indian media frames the murder of a Jubo Dal leader as post-verdict violence following Hasina’s sentencing
১৮ নভেম্বর ২০২৫

Indian media frames the murder of a Jubo Dal leader as post-verdict violence following Hasina’s sentencing

ইন্টারনেটে আগুন সন্ত্রাসের নির্দেশনা ও উষ্কানি দিচ্ছে আওয়ামী লীগের এক্টিভিস্টরা
১২ নভেম্বর ২০২৫

ইন্টারনেটে আগুন সন্ত্রাসের নির্দেশনা ও উষ্কানি দিচ্ছে আওয়ামী লীগের এক্টিভিস্টরা

AI-Generated Online Content
Targeting Political Parties, Government, and Security Forces
২৮ অক্টোবর ২০২৫

AI-Generated Online Content

Targeting Political Parties, Government, and Security Forces

আপনার মতামত দিন

এই পোস্টটি কি আপনার জন্য সহায়ক ছিল?

এখনো কেউ ভোট দেয়নি। আপনিই প্রথম হোন!

0%

0%

আপনার মতামত শেয়ার করুন:

| মন্তব্য সমূহ:

এখনও কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্যটি করুন!



যৌথ মহড়া নিয়ে চন্দন নন্দীর অপপ্রচার

বিশ্লেষণ

যৌথ মহড়া নিয়ে চন্দন নন্দীর অপপ্রচার

২৩ জুন ২০২৫

যৌথ মহড়া নিয়ে চন্দন নন্দীর অপপ্রচার

বাংলাদেশের সেনাবাহিনী, করিডর ইত্যাদি নিয়ে নিয়মিত গুজব ছড়ানো চন্দন নন্দী নামক সাংবাদিক ভারতের ‘নর্থ ইস্ট নিউজ’-এ একটি ‘রিপোর্ট’ প্রকাশ করেছেন। এতে তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের যৌথ মহড়া ‘প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল-২৫’ ও ‘টাইগার লাইটনিং-২০২৫’–কে ঘিরে এমনভাবে তথ্য সাজিয়েছেন, যেন বাংলাদেশে কোনো অস্বাভাবিক সামরিক তৎপরতা চলছে এবং তা ঘিরে নিরাপত্তা মহলে “আতঙ্ক ও বিস্ময়” ছড়িয়েছে।

অথচ বাস্তবতা হলো—এই মহড়াগুলো নতুন নয়, বাংলাদেশে এর আগেও বহুবার হয়েছে। যেমন, ২০২৪ এর ২১ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ‘টাইগার লাইটনিং-২০২৪’ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২০১৯ সালে লালমনিরহাটে ‘প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল-২০১৯’ অনুষ্ঠিত হয়। ফলে চন্দন নন্দী যেমন মহড়াগুলোকে আতঙ্ক ও বিস্ময়ের হিসেবে দেখাতে চাচ্ছেন এবং তার সাথে কথিত 'মানবিক করিডর' প্রসঙ্গ জুড়ে দিচ্ছেন, তার কোনো বাস্তবতা নেই।

আরো উল্লেখ্য হলো, এ ধরণের মহড়া ভারতেও নিয়মিত হয়ে থাকে। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে অন্ধ্র প্রদেশে ‘টাইগার ট্রায়াম্ফ’ মহড়া আয়োজন করেছিল। কিন্ত ভারতীয় মিডিয়া নিজ দেশে এসব মহড়াকে স্বাভাবিকভাবেই নেয়। শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত মহড়াগুলো নিয়েও ভারতীয় গণমাধ্যম কখনও কোনো সন্দেহ বা নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেনি। কিন্তু ৫ আগস্টের পর থেকে ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চালানো অপতথ্যের ব্যাপক ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে চন্দন নন্দী ক্রমাগত বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বয়ান তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।