| এক্সপ্লেইনার
কক্সবাজারে বিমান বাহিনীর ঘাঁটি সংলগ্ন এলাকায় সংঘর্ষের খবরে বিভ্রান্তিকর শিরোনাম
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কক্সবাজার ঘাঁটি সংলগ্ন সমিতিপাড়া এলাকায় স্থানীয় লোকজনের সাথে বিমান বাহিনীর সদস্যদের বিরোধ ও সংঘর্ষের খবর কিছু মিডিয়াতে যেভাবে এসেছে তাতে বিভ্রান্তি তৈরির সুযোগ রয়েছে।
কোনো সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম করা হয়েছে, "কক্সবাজারে বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলায় নিহত ১"। এই শিরোনাম থেকে স্পষ্ট মনে হচ্ছে, নিহতের ঘটনাটি ঘাঁটিতে ঘটেছে।
আবার কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম করা হয়েছে, "কক্সবাজারে বিমান ঘাঁটিতে দুর্বৃত্তদের হামলা", যেটিও বিভ্রান্তিকর। এই শিরোনামেও মূল ঘটনার সঠিক চিত্র ফুটে ওঠেনি। দেশের চলমান পরিস্থিতিতে এমন শিরোনাম পাঠককে ভুল বার্তা দেয়ার শঙ্কা তৈরি করে।
মূল ঘটনা হচ্ছে, স্থানীয় সমিতিপাড়াসহ আশপাশে কয়েকটি গ্রামের খাস জমিতে কয়েক হাজার জলবায়ু উদ্বাস্তু মানুষজন বসবাস করে আসছিলেন। বিগত কয়েক বছর ধরে এই এলাকায় বিমান বাহিনীর ঘাঁটি নির্মাণ নিয়ে উদ্বাস্তু পরিবারগুলোর সাথে বিরোধ চলমান আছে।
দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদন মতে, এর মধ্যে আজ সকালে সমিতিপাড়ার পার্শ্ববর্তী কুতুবদিয়া পাড়ার জাহেদ হোসেন নামের এক তরুণের সঙ্গে বিমানবাহিনীর একটি তল্লাশিচৌকিতে হেলমেট পরা নিয়ে কর্তব্যরত ব্যক্তিদের কথা কাটা-কাটির ঘটনা ঘটে। এরপর জাহেদের আত্মীয়স্বজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিমানবাহিনীর নির্মাণাধীন ঘাঁটি ও সদস্যদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। থেমে থেমে আধা ঘণ্টা ধরে চলা ওই পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনায় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। তাতে গুলিবিদ্ধ হন শিহাব কবির নাহিদ। স্থানীয় লোকজন শিহাবকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শিহাবের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে বিমানবাহিনীর ঘাঁটির দিকে আসতে থাকেন। এরপর স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আপনার মতামত দিন
এই পোস্টটি কি আপনার জন্য সহায়ক ছিল?
আপনার মতামত শেয়ার করুন:

এক্সপ্লেইনার
কক্সবাজারে বিমান বাহিনীর ঘাঁটি সংলগ্ন এলাকায় সংঘর্ষের খবরে বিভ্রান্তিকর শিরোনাম
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কক্সবাজার ঘাঁটি সংলগ্ন সমিতিপাড়া এলাকায় স্থানীয় লোকজনের সাথে বিমান বাহিনীর সদস্যদের বিরোধ ও সংঘর্ষের খবর কিছু মিডিয়াতে যেভাবে এসেছে তাতে বিভ্রান্তি তৈরির সুযোগ রয়েছে।
কোনো সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম করা হয়েছে, "কক্সবাজারে বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলায় নিহত ১"। এই শিরোনাম থেকে স্পষ্ট মনে হচ্ছে, নিহতের ঘটনাটি ঘাঁটিতে ঘটেছে।
আবার কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম করা হয়েছে, "কক্সবাজারে বিমান ঘাঁটিতে দুর্বৃত্তদের হামলা", যেটিও বিভ্রান্তিকর। এই শিরোনামেও মূল ঘটনার সঠিক চিত্র ফুটে ওঠেনি। দেশের চলমান পরিস্থিতিতে এমন শিরোনাম পাঠককে ভুল বার্তা দেয়ার শঙ্কা তৈরি করে।
মূল ঘটনা হচ্ছে, স্থানীয় সমিতিপাড়াসহ আশপাশে কয়েকটি গ্রামের খাস জমিতে কয়েক হাজার জলবায়ু উদ্বাস্তু মানুষজন বসবাস করে আসছিলেন। বিগত কয়েক বছর ধরে এই এলাকায় বিমান বাহিনীর ঘাঁটি নির্মাণ নিয়ে উদ্বাস্তু পরিবারগুলোর সাথে বিরোধ চলমান আছে।
দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদন মতে, এর মধ্যে আজ সকালে সমিতিপাড়ার পার্শ্ববর্তী কুতুবদিয়া পাড়ার জাহেদ হোসেন নামের এক তরুণের সঙ্গে বিমানবাহিনীর একটি তল্লাশিচৌকিতে হেলমেট পরা নিয়ে কর্তব্যরত ব্যক্তিদের কথা কাটা-কাটির ঘটনা ঘটে। এরপর জাহেদের আত্মীয়স্বজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিমানবাহিনীর নির্মাণাধীন ঘাঁটি ও সদস্যদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। থেমে থেমে আধা ঘণ্টা ধরে চলা ওই পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনায় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। তাতে গুলিবিদ্ধ হন শিহাব কবির নাহিদ। স্থানীয় লোকজন শিহাবকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শিহাবের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে বিমানবাহিনীর ঘাঁটির দিকে আসতে থাকেন। এরপর স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।