| এক্সপ্লেইনার
‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা যে কোনো সময় তুলে নেয়া’র কথা বলেননি প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জিটিও’র ব্রিটিশ-মার্কিন সাংবাদিক মেহেদী হাসানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা যেকোনো সময় তুলে নেওয়া হতে পারে’ বলেননি। ইত্তেফাক, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, এনটিভি, দেশ টিভি, চ্যানেল আই অনলাইনসহ বেশ কিছু গণমাধ্যমে ড. ইউনূসের বরাত দিয়ে ‘যেকোনো সময় আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হতে পারে’ বলে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা সঠিক নয়। আলোচিত সাক্ষাৎকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূস আদতে বলেছেন, আওয়ামী লীগ ‘কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে পারবে না’। এমনকি আগামী নির্বাচনেও অংশ নিতে পারবে না। তাঁর ভাষায়, ‘দলটির বৈশিষ্ট্য দেখে এবং তারা যে পুরো নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে সেই সম্ভাবনা বুঝে নির্বাচন কমিশন ভেবেছে যে, তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি না দেওয়াই ভালো’।
স্পষ্টতার খাতিরে তিনি আরো বলেন, ‘অন্যথায়, আমরা নির্বাচন করতে পারবো না।’ তবে একইসাথে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়টিকে তিনি ‘আপাতত’ বা ‘ফর দা টাইম বিয়িং’ বলতে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত’ কথাটা বুঝিয়েছেন। এ বছরের ১০ মে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। কার্যক্রম নিষিদ্ধের সেই সিদ্ধান্তে বলা হয়েছিল, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ’ থাকবে (সূত্র: প্রথম আলো, ১০ মে ২০২৫, অনলাইন সংস্করণ)।
সুতরাং মেহেদী হাসানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত’ সময়টাকেই ‘ফর দা টাইম বিয়িং’ হিসেবে বলেছেন। এবং ‘কোনো এক সময় এটা (কার্যক্রম) চালু হতে পারে’ বলে তিনি এই বিচারকাজ সম্পন্ন হওয়ার পরের সময়কেই বুঝিয়েছেন; বর্তমান সময় বা নির্বাচনকালীন সময় নয়।
নিচে বাংলাফ্যাক্টের পক্ষ থেকে আলোচিত সাক্ষাৎকারের প্রাসঙ্গিক অংশের ইংরেজি ট্রান্সক্রিপ্ট এবং এর হুবহু অনুবাদ তুলে দেওয়া হলো।
মেহেদী: হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর, আপনার সরকার তাঁর সাবেক দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছে, তাদের নিবন্ধন স্থগিত করেছে, ফলপ্রসূভাবে তাদের আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করেছে। অথচ আপনার সহ-নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন, যাকে আপনি খুব ভালো করে চেনেন; তিনি লীগকে নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে সতর্ক করে বলেছিলেন, এটি কেবল আগের সরকারের ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে। তারা ক্ষমতায় এসে তাদের বিরোধীদের নিষিদ্ধ করেছিল। আপনি শুধু সেই চক্রেরই পুনরাবৃত্তি করছেন। সেন এবং অন্যদের এ ধরনের সমালোচনার জবাবে আপনি কী বলবেন?
ড. ইউনূস: এটা তাঁদের নিজস্ব সমালোচনা, কারণ আমরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করিনি।
মেহেদী: মানে বোঝাতে চাইছি, আপনারা তাদের নিবন্ধন স্থগিত করেছেন।
ড. ইউনূস: না, নিবন্ধন নয় (আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করা হয়নি, বরং ইসি কর্তৃক স্থগিত করা হয়েছে: বাংলাফ্যাক্ট)। কেবল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
মেহেদী: এর কী অর্থ দাঁড়ায়?
ড. ইউনূস: এর মানে হলো, তারা কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে পারবে না।
মেহেদী: তাহলে আপনারা তো মূলত... মানে, তারা নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবে না।
ড. ইউনূস: না, না। দলটি তো এখনও আছে।
মেহেদী: তারা কি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে?
ড. ইউনূস: এখন নয়। তবে কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মেহেদী: ঠিক আছে, তাহলে অমর্ত্য সেন যার বিরুদ্ধে সতর্ক করছেন, এটা কীভাবে সেটাই নয়?
ড. ইউনূস: অতএব তারা, তারা একটা দল হিসাবে বহাল থাকছে।
মেহেদী: আচ্ছা।
ড. ইউনূস: তবে আপাতত কার্যক্রম স্থগিত।
মেহেদী: আর কী...
ড. ইউনূস: মানে, কোনো এক সময় এটা (কার্যক্রম) চালু হতে পারবে।
মেহেদী: মানে আপনি তাদের স্থগিতাদেশ তুলে নিতে পারেন?
ড. ইউনূস: স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া। এটা একটা সম্ভাবনা।
মেহেদী: তাহলে আপনি দলটিকে নিষিদ্ধ করেননি, আপনি শুধু বলেছেন, আপাতত তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।
ড. ইউনূস: ঠিক তাই।
মেহেদী: কিন্তু একটি গোষ্ঠীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে নিষিদ্ধ করা কীভাবে গণতান্ত্রিক?
ড. ইউনূস: দেখুন...দলটির বৈশিষ্ট্য দেখে এবং তারা যে পুরো নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে সেই সম্ভাবনা বুঝে নির্বাচন কমিশন ভেবেছে যে, তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি না দেওয়াই ভালো। …অন্যথায়, আমরা নির্বাচন করতে পারবো না।
Mehedi: Um, since Hasina's ousting, your government has banned her former party. Uh, the Awami League, suspended their registration, effectively banned them from participating in the next elections. This was despite your fellow Nobel Prize winner Amartya Sen, who you know very well. He warned against banning the league, saying it would simply be a repeat of the previous government's mistake, which came to office and banned their opposition. You're just repeating the cycle. What is your response to that line of criticism from Sen and others?
Dr. Yunus: It's their own criticism because we have not banned the Awami League.
Mehedi: I mean, you suspended their registration.
Dr. Yunus: No, not the registration. Simply activities has been suspended.
Mehedi: What does that mean?
Dr. Yunus: Meaning that they cannot do any political activity.
Mehedi: So then you have basically... I mean, they can't run for office.
Dr. Yunus: No, no, the party's still there.
Mehedi: Can they run for office?
Dr. Yunus: Not now. But the activities are banned.
Mehedi: Okay, so how is that not what Amartya Sen is warning against?
Dr. Yunus: So they remain, they remain valid as a party.
Mehedi: Okay.
Dr. Yunus: So, but activities for the time being is suspended.
Mehedi: And what-
Dr. Yunus: I mean, any time it could be opened.
Mehedi: You mean you could unsuspend them?
Dr. Yunus: Unsuspend. That's a possibility.
Mehedi: So you haven't banned the party, you've just said-
Dr. Yunus: Banned the party…
Mehedi: ... for now-
Dr. Yunus: Yeah.
Mehedi: ... you can't participate in elections.
Dr. Yunus: That's right.
Mehedi: But how is that democratic to ban a group of people from participating in elections?
Dr. Yunus: Well, that's, uh... And the election commission has decided, seeing the pos- possibilities and the characteristics of the party, that will disrupt the whole election, so they thought it's better not to, uh, allow.
… Otherwise, we cannot hold election.
পুরো সাক্ষাৎকারের লিংক এখানে
আপনার মতামত দিন
এই পোস্টটি কি আপনার জন্য সহায়ক ছিল?
আপনার মতামত শেয়ার করুন:

এক্সপ্লেইনার
‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা যে কোনো সময় তুলে নেয়া’র কথা বলেননি প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জিটিও’র ব্রিটিশ-মার্কিন সাংবাদিক মেহেদী হাসানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা যেকোনো সময় তুলে নেওয়া হতে পারে’ বলেননি। ইত্তেফাক, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, এনটিভি, দেশ টিভি, চ্যানেল আই অনলাইনসহ বেশ কিছু গণমাধ্যমে ড. ইউনূসের বরাত দিয়ে ‘যেকোনো সময় আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হতে পারে’ বলে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা সঠিক নয়। আলোচিত সাক্ষাৎকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূস আদতে বলেছেন, আওয়ামী লীগ ‘কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে পারবে না’। এমনকি আগামী নির্বাচনেও অংশ নিতে পারবে না। তাঁর ভাষায়, ‘দলটির বৈশিষ্ট্য দেখে এবং তারা যে পুরো নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে সেই সম্ভাবনা বুঝে নির্বাচন কমিশন ভেবেছে যে, তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি না দেওয়াই ভালো’।
স্পষ্টতার খাতিরে তিনি আরো বলেন, ‘অন্যথায়, আমরা নির্বাচন করতে পারবো না।’ তবে একইসাথে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়টিকে তিনি ‘আপাতত’ বা ‘ফর দা টাইম বিয়িং’ বলতে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত’ কথাটা বুঝিয়েছেন। এ বছরের ১০ মে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। কার্যক্রম নিষিদ্ধের সেই সিদ্ধান্তে বলা হয়েছিল, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ’ থাকবে (সূত্র: প্রথম আলো, ১০ মে ২০২৫, অনলাইন সংস্করণ)।
সুতরাং মেহেদী হাসানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত’ সময়টাকেই ‘ফর দা টাইম বিয়িং’ হিসেবে বলেছেন। এবং ‘কোনো এক সময় এটা (কার্যক্রম) চালু হতে পারে’ বলে তিনি এই বিচারকাজ সম্পন্ন হওয়ার পরের সময়কেই বুঝিয়েছেন; বর্তমান সময় বা নির্বাচনকালীন সময় নয়।
নিচে বাংলাফ্যাক্টের পক্ষ থেকে আলোচিত সাক্ষাৎকারের প্রাসঙ্গিক অংশের ইংরেজি ট্রান্সক্রিপ্ট এবং এর হুবহু অনুবাদ তুলে দেওয়া হলো।
মেহেদী: হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর, আপনার সরকার তাঁর সাবেক দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছে, তাদের নিবন্ধন স্থগিত করেছে, ফলপ্রসূভাবে তাদের আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করেছে। অথচ আপনার সহ-নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন, যাকে আপনি খুব ভালো করে চেনেন; তিনি লীগকে নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে সতর্ক করে বলেছিলেন, এটি কেবল আগের সরকারের ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে। তারা ক্ষমতায় এসে তাদের বিরোধীদের নিষিদ্ধ করেছিল। আপনি শুধু সেই চক্রেরই পুনরাবৃত্তি করছেন। সেন এবং অন্যদের এ ধরনের সমালোচনার জবাবে আপনি কী বলবেন?
ড. ইউনূস: এটা তাঁদের নিজস্ব সমালোচনা, কারণ আমরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করিনি।
মেহেদী: মানে বোঝাতে চাইছি, আপনারা তাদের নিবন্ধন স্থগিত করেছেন।
ড. ইউনূস: না, নিবন্ধন নয় (আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করা হয়নি, বরং ইসি কর্তৃক স্থগিত করা হয়েছে: বাংলাফ্যাক্ট)। কেবল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
মেহেদী: এর কী অর্থ দাঁড়ায়?
ড. ইউনূস: এর মানে হলো, তারা কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে পারবে না।
মেহেদী: তাহলে আপনারা তো মূলত... মানে, তারা নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবে না।
ড. ইউনূস: না, না। দলটি তো এখনও আছে।
মেহেদী: তারা কি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে?
ড. ইউনূস: এখন নয়। তবে কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মেহেদী: ঠিক আছে, তাহলে অমর্ত্য সেন যার বিরুদ্ধে সতর্ক করছেন, এটা কীভাবে সেটাই নয়?
ড. ইউনূস: অতএব তারা, তারা একটা দল হিসাবে বহাল থাকছে।
মেহেদী: আচ্ছা।
ড. ইউনূস: তবে আপাতত কার্যক্রম স্থগিত।
মেহেদী: আর কী...
ড. ইউনূস: মানে, কোনো এক সময় এটা (কার্যক্রম) চালু হতে পারবে।
মেহেদী: মানে আপনি তাদের স্থগিতাদেশ তুলে নিতে পারেন?
ড. ইউনূস: স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া। এটা একটা সম্ভাবনা।
মেহেদী: তাহলে আপনি দলটিকে নিষিদ্ধ করেননি, আপনি শুধু বলেছেন, আপাতত তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।
ড. ইউনূস: ঠিক তাই।
মেহেদী: কিন্তু একটি গোষ্ঠীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে নিষিদ্ধ করা কীভাবে গণতান্ত্রিক?
ড. ইউনূস: দেখুন...দলটির বৈশিষ্ট্য দেখে এবং তারা যে পুরো নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে সেই সম্ভাবনা বুঝে নির্বাচন কমিশন ভেবেছে যে, তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি না দেওয়াই ভালো। …অন্যথায়, আমরা নির্বাচন করতে পারবো না।
Mehedi: Um, since Hasina's ousting, your government has banned her former party. Uh, the Awami League, suspended their registration, effectively banned them from participating in the next elections. This was despite your fellow Nobel Prize winner Amartya Sen, who you know very well. He warned against banning the league, saying it would simply be a repeat of the previous government's mistake, which came to office and banned their opposition. You're just repeating the cycle. What is your response to that line of criticism from Sen and others?
Dr. Yunus: It's their own criticism because we have not banned the Awami League.
Mehedi: I mean, you suspended their registration.
Dr. Yunus: No, not the registration. Simply activities has been suspended.
Mehedi: What does that mean?
Dr. Yunus: Meaning that they cannot do any political activity.
Mehedi: So then you have basically... I mean, they can't run for office.
Dr. Yunus: No, no, the party's still there.
Mehedi: Can they run for office?
Dr. Yunus: Not now. But the activities are banned.
Mehedi: Okay, so how is that not what Amartya Sen is warning against?
Dr. Yunus: So they remain, they remain valid as a party.
Mehedi: Okay.
Dr. Yunus: So, but activities for the time being is suspended.
Mehedi: And what-
Dr. Yunus: I mean, any time it could be opened.
Mehedi: You mean you could unsuspend them?
Dr. Yunus: Unsuspend. That's a possibility.
Mehedi: So you haven't banned the party, you've just said-
Dr. Yunus: Banned the party…
Mehedi: ... for now-
Dr. Yunus: Yeah.
Mehedi: ... you can't participate in elections.
Dr. Yunus: That's right.
Mehedi: But how is that democratic to ban a group of people from participating in elections?
Dr. Yunus: Well, that's, uh... And the election commission has decided, seeing the pos- possibilities and the characteristics of the party, that will disrupt the whole election, so they thought it's better not to, uh, allow.
… Otherwise, we cannot hold election.
পুরো সাক্ষাৎকারের লিংক এখানে